নিরাপত্তার কথা ভেবে মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলেন মা। ভেবেছিলেন এখানে হয়তো অন্তত মেয়েকে বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হতে হবে না। কিন্তু তার সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। মাদ্রাসার অধ্যক্ষকের কাছেই ”’যৌ””’ন”হে”ন’স্থা”র শি”কা”র হতে হলো মেয়েকে।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের আফরোজা-রমজান বালিকা মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্রীর খারাপ করার চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তফা কামালকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত মাওলানা মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে অশো’ভন’ভাবে ‘তার ‘গোপ”’না”ঙ্গে’ ‘জো’র’পূ”র্ব’ক ”স্পর্শ” ক’রে’ তাকে খারাপ চেষ্টা করেন। এ সময় মাদ্রাসা ছাত্রী ‘চিৎ’কা’র ক’রলে অভিযুক্ত মো’স্তফা কামাল তাকে ছেড়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী মোবাই’ল ফোনে ঘটনাটি তার বোনকে জানালে মেয়েটির শ্যালক বিষয়টি মানিকগঞ্জ সদর থানায় অবহিত করেন।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির পরিবার এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি। মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বলেন, মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে মাদ্রাসায় পাঠিয়েছি, কিন্ত মাদ্রাসার শিক্ষক আমার মেয়ের সর্বনাশ করার চেষ্টা করেছে। আমরা কোথায় গেলে নিরাপত্তা পাবো? আমি ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভুক্তভুগীর ওই তরুণীর পরিবারের করা অভিযোগের আলোকে ওই মাদ্রাসা শিক্ষকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।