বাবার কাছ থেকে শেষ বিদায় জানালেন ঢালিউডের প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। গন্তব্য ছিল বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স তার নতুন সিনেমা পেয়ারার সুবাসের প্রিমিয়ার শো। সিনেমাটি আর দেখা হয়নি এই অভিনেতার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এই অভিনেতা। বুধবার সন্ধ্যায় ৫৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
অনেকেই তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসার দিক থেকে তার মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হলেও অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলছেন ভিন্ন কথা। শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন,সিন্ডিকেটের নামে সব গুণী শিল্পীগুলোকে কাজ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে জীবিত মেরে ফেলা হচ্ছে। আর মঞ্চে চলছে দাঁড়িয়ে হা-হুতাশ। অসম্মান, অশ্রদ্ধা এসব পাওয়ার জন্য শিল্পীর জন্ম নয়।
কেন তিনি এমনটি লিখেছেন তা তিনি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেননি। এরপর স্থানীয় গণমাধ্যমকে অরুণা বিশ্বাস বলেন, গত বুধবার মারা যাওয়া শক্তিশালী অভিনয়শিল্পী আহমেদ রুবেলের মৃত্যু তাকে নাড়া দিয়েছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি ঢাকা ছেড়ে গাজীপুরের জয়দেবপুরে নিজ বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি ঢাকায় কলেজ পড়তে আসা আহমেদ রুবেল জীবনের দুটি যুগ কাটিয়েছেন। অভিনয়ের ব্যস্ততা কমে যাওয়ায় নতুন কাজে যুক্ত হলেই ঢাকায় আসতেন। এ ছাড়া অন্য সময় তিনি জয়দেবপুরের ছায়াবেঠি এলাকায় থাকতেন। অরুণা বিশ্বাসের মতে, আহমেদ রুবেলের মতো অভিনয়শিল্পীরা সিন্ডিকেটের কাছে কোণঠাসা। তাই কাজের ব্যস্ততা কমে যায়।
রাগে ক্ষোভে অরুণা বিশ্বাস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অখাদ্য-কুখাদ্য জোর করে গেলাচ্ছেন, বলছেন দর্শকের রুচি খারাপ। সিন্ডিকেটের নামে সব গুণী শিল্পীকে কাজ না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে জীবিত মেরে ফেলছেন, আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে হা-হুতাশ। অসম্মান, অশ্রদ্ধা এসব পাওয়ার জন্য শিল্পীর জন্ম নয়।
আহমেদ রুবেলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে জানিয়ে অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এই ভদ্রলোকের সঙ্গে কাজ করছি। কালকে দেখলাম পরিচালক আমিতাভ রেজা বলছেন, আহমেদ রুবেল মানুষটা খুব নিঃসঙ্গ ছিলেন। আমি তো বলব, আহমেদ রুবেলকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে তো অনেক দিন ধরে কাজই দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তাকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। কাজে থাকলে আনন্দে থাকতেন। মনটা সতেজ থাকতো।
অরুণা বিশ্বাসের মন্তব্যে কেঁপে ওঠে শোবিজ অঙ্গন। সিন্ডিকেট নামক এমন অদৃশ্য মাফিয়ার জাল ভাঙতে দিন গুনছে শিল্পী সমাজ।