ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। শুধু পর্দায় নয়, তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় শৈলির কারণে তিনি প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই অভিনেত্রীর বেশ কয়েকটি ছবি গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, সেখানে দেখা যায় তিনি ওজন কমিয়ে এক ধরনের চমক সৃষ্টি করেছেন। তিনি ১০৫ কেজি থেকে কমিয়ে এখন নিজেকে ৬৫ কেজির সুপার ফিগারের অধিকারী হয়েছেন। তার ছবিগুলোও বেশ খোলা মেলা। এবার এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক মিলি। তার সেই পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
অভিনেত্রী রুনা খানকে আমি যখন চিনতে শিখেছি গুণী অভিনেতা খালেদ খান যুবরাজের ভাগ্নি হিসেবে চিনেছি। বাংলা নাটকে খালেদ খান যুবরাজের অবদান অনস্বীকার্য। খালেদ খানের ভাগ্নি অভিনেত্রী রুনা খান এখন নিজেকে ন”/গ্নিকার পরিচয়ে বিকশিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। অনাবৃত ন”/গ্নকা’ন্তিতে আস”/ক্ত রুনা খান লালশাড়ি পরে প্রমাণ করতে চেয়েছেন কিছু ফটোসেশনের মাধ্যমে।
রুনা তার প্রায় উন্মুক্ত ফিগার প্রদর্শন করে কোন ধরনের খ্যাতি কুড়াতে চান তিনিই ভালো বলতে পারবেন। রুনা খানের প্রায় উন্মুক্ত পৃষ্ঠদেশ, সুঢৌল যুগল দেখে অনেকের মুখে প্রশংসা চুইয়ে চুইয়ে পড়েছে। তিনি ৩৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন। তার জন্য প্রশংসা পেতেই পারেন। মেদবহুল শরীরের ভেতর রোগের আনাগোনা নিয়ে সচেতনতাই তাকে মেদ ঝরাতে সাহায্য করেছে। সচেতনতার মানে এই নয়, রুনা খান কদর্যময়তার প্রকাশ ঘটাবেন। রুনা তার সৌন্দর্যতার অন্যনাম দিয়েছেন। তার পরনের লালশাড়ির মধ্যে কদর্যময় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
রুনা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এতটা মরিয়া হয়ে উঠলেন কেন বুঝলাম না। রুনা ভালো অভিনেত্রী। ইচ্ছে করলে অভিনয় দিয়ে অনেকদিন টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু হঠাৎ পাগল হয়ে উঠলেন কেন জানিনা। সৌন্দর্যকে এভাবে উপস্থাপন করতে হবে কেন? আর এসব নিয়ে উল্লাসধ্বনি তোলে একশ্রেণির “নেভার মাইন্ড” টাইপের মানুষ। উগ্র”/তা প্রদর্শনের মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই। অভিনয় ভালো করেন, অভিনয়কে গুরুত্ব দিন। ওজন কমিয়েছেন, আনন্দের খবর।
প্রসঙ্গত, রুনা খান তার মেদি ফিগারের কারণে মানুষের কটাক্ষ শুনেছেন, যেটা তাকে হতাশও করে দিয়েছিল। এরপর তিনি অনেকের সঙ্গও ত্যাগ করেছিলেন। এরপর তিনি নিজের শরীরে পরিবর্তন আনার জন্য সংকল্প করেন, নিজেকে জিরো ফিগারে আনার সকল নিয়ম কানুন মেনে চলেন। একসময় তিনি সফল হন। এরপর তিনি তার টানটান ফিগারের ছবি প্রকাশও করেন।