আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচকে ঘিরে এই মুহুর্তে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে শিল্পীদের। ইতিমধ্যে বেশ জমে উঠে ঝিমিয়ে পড়া এফডিসিও। তবে এদিকে গেল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোটাধিকার হারানো এক বৃদ্ধকে জড়িয়ে ধরে রীতিমতো কাঁদতে দেখা যায় চিত্রনায়ক রিয়াজকে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ট্রলেরও শিকার হতে হয়েছে তাকে।
তবে এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার এফডিসিতে কাঁদতে দেখা গেল অভিনেত্রী নাসরিনকে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলেন তিনি।
এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নাসরীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ঘোষণাও করেছেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। নাসরিন বলেন, “অবশ্যই খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার একার কষ্টের চেয়ে সবার কষ্টই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার ব্যথা আমার মধ্যেই থাকে। আমি আমার ভাই-বোনদের জয়, সবার শান্তি কামনা করি। সবাই কাজ করুক, ভালো হোক। কোন প্যানেল নির্দিষ্ট করতে চাই না।কারণ উভয় প্যানেলেই আমার প্রিয় মানুষ রয়েছে।কিন্তু হ্যাঁ, কাকে ভোট দেব তা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত চিন্তা আছে।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে নাসরিন বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিল। ইতিহাস সবাই জানে। আমরা সেই গর্বিত জাতি। নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের কাছে পিস্তল বোমা ছিল না, আমাদের লাঠি ছিল। মায়েরা বলেছে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন কর। জীবন দিতে হলে মা হিসেবে মেনে নেব। এখন শিল্পী ভাই-বোনদের বলতে চাই, যাও তাদের মুক্ত করে দাও। আমাদের মুক্ত করুন, আমাদের এফডিসিকে রক্ষা করুন। আমরা বাঁচতে চাই। ”
১৯৯২ সালে ‘লাভ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন নাসরিন। অভিনয় ক্যারিয়ারি প্রায় ৫ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে গত বেশ কয়েক বছর হলো অভিনয়ে তেমন একটা দেখা যায় না তাকে। বর্তমানে তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা।