দুই দফা রিমান্ডে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে হাত-পা বেঁধে ইনজেকশন ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নুরুল তিন থেকে চারবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী মারিয়া নূর।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নুরুল হক নূরসহ আটকৃতদের মুক্তি, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ ও চিকিৎসার দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মারিয়া নূর। আদালতের কাছে বারবার অনুরোধ করার পরও নুরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি বলে জানান মারিয়া।
সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মারিয়া বলেন, নুরুল হককে পা ওপরের দিকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নূর তিন থেকে চারবার অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর কী হয়েছে তা বলতে পারেননি ডাকসুর সাবেক ভিপি।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুলের স্ত্রী স্বামীর সুচিকিৎসার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে আমি আর রাজনীতি করতে দেব না। আমাদের খুব চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। শুধু ওকে আমাদের কাছে ফেরত দিন।’
রিমান্ডে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে মারিয়া বলেন, তিনি চোর-ডাকাত, খুনি বা সন্ত্রাসী নন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। এমনকি ভাঙচুরের সঙ্গেও তিনি জড়িত নন।
মারিয়া আরও বলেন, “তাঁর স্বামী ডাকসুর সাবেক ভিপি। আগে ছাত্র আন্দোলন করেছেন বিধায় ছাত্রদের নিয়ে কথা বলেছেন। নৈতিকভাবে আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। এতটুকু অধিকার তো সংবিধানে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবার স্বীকারোক্তি (পুলিশ) নেওয়ার চেষ্টা চলছে যে তিনি (নুরুল) এগুলোর সঙ্গে জড়িত।“
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হকের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার, তার স্বজন, গণঅধিকার পরিষদের মিডিয়া সম্পাদক আবু হানিফের বোন নিলুফা ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।