রিফাতকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হ/”ত্যাকান্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এই ঘটনা ঘটায় আগে থেকে পরিকল্পনাকারীরা। নুরুল ইসলাম রিফাত দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘চ্যানেল ২৪’ এর এমডি এ কে আজাদের ছোট ভাই। ঘটনাটি ঘটে ২৫ বছর আগে। হ/”ত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসা”মিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন মাননীয় আপিল বিভাগ। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আসা”মিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শামছু হাবিব বিদ্যুৎ, রুমন কার্জন, মানিক ও রাসেল কবির।
২০১৪ সালে আপিল বিভাগ এ মামলায় রায় দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তৎকালীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে বিবাদী রিভিউ করলে মামলাটি আবার আপিল শুনানির জন্য পাঠানো হয় আপিল বিভাগে।
১৯৯৭ সালের ১৭ জানুয়ারি রিফাতকে ইফতারের জন্য বাসা থেকে ডাকা হয়। পরদিন মহাখালীতে রিফাত জাহাদ হোটেলের পেছনে রেললাইনে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি তার ভাই মো: ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরের বছরের ৭ জানুয়ারি ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিচারিক আদালত আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ৫ জনের সাজা বহাল রাখেন এবং তিনজনকে খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হাইকোর্টে আপিল করলে আপিল বিভাগ তাদের সবাইকে খালাস দেন।
তবে আপিল বিভাগের এই রায় নিয়ে মন্তব্য করেছেন রিফাতের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, যাদেরকে যাবজ্জীবন দন্ড দেওয়া হয়েছিল তাদের সবাই কী করে একসাথে খালাস পেতে পারে। তারা দাবি করেছেন, অনেক কিছুই ঢাকা পড়ে গেছে। তবে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে তারা আশাহত হয়েছেন বলেও জানান।