প্রাণনা’শের হু’মকি পেয়েও নিরাপত্তা চেয়েও পাননি তিনি। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করলেও ধরা পড়েনি হু’মকিদাতারা। তাই প্রতিবাদের জন্য তিনি একটি কাফনের কাপড় কেনার পর সেটার রশিদ রিটার্নিং অফিসারের নিকট পাঠিয়ে দিয়েছেন। গতকাল (শুক্রবার) রাজশাহী জেলার মোহনপুর নামক উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল লতিফ কাফনের কাপড় কিনেছেন এবং এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রশিদ পাঠিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী বিবেচিত হয়েছেন এবং তার জন্য নানাভাবে হু’মকি-ধমকি পেয়ে চলেছেন যার কারনে তিনি ধারনা করছেন যে কোনো সময় তাকে হ’/’ত্যা করা হতে পারেন এবং এই বিষয়ে পু/লি’শের কাছে অভিযোগ করেছেন আব্দুল লতিফ।
তিনি জানান, এবার জাহানাবাদ ইউনিয়নে দলের মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন। ফলে গত কয়েকদিন ধরে তাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনা’/শের হুম’কি আসছে। এরই মধ্যে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মোহনপুর থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পু’/লি’শ তার কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি। হু’মকিদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেনি।
অথচ যেসব মোবাইল ফোন থেকে হত্যার হুমকি আসছে সেগুলি তিনি থা’/নায় জমা দিয়েছেন। রিটার্নিং ও নির্বাচন কর্মকর্তাকেও দিয়েছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তার অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে না। অথচ পু’লিশ চাইলেই হ’/’ত্যার হু’মকিদাতাদের সহজেই শনাক্ত করতে পারেন।
আব্দুল লতিফ আরও বলেন, আমি ধরে নিয়েছি আমাকে যে কোনো সময় প্রাণে মে’/’রে ফেলা হতে পারে। এ কারণে আমি শুক্রবার বাজার থেকে কাফনের কাপড় কিনে এনেছি। কাফন কেনার রশিদ আবেদনের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠিয়েছি।
জয়নুল আবেদীন যিনি জাহানাবাদ ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি জানান, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল লতিফ যিনি হু’মকি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এবং সে বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। নিরাপত্তা চেয়ে তিনি যে আবেদনটি করেছেন সেটার সাথে কাফনের কাপড় কেনার পর তার একটি ক্যাশ মেমোও সংযুক্ত করেছেন৷ আমরা এই বিষয়ে প্রশাসনকে বলেছি যারা তাকে হ’/’ত্যা করার হুম’কি দিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে।