বাংলাদেশের বর্তমান অথনৈতিক অবস্থা বেশ শোচনীয়। তবে সব থেকে বড় বিষয় হলো দেশের রিজার্ভ কমেও চলে গেছে একেবারে তলানির দিকে। আর এই কারনে সারা দেশে রিজার্ভ নিয়ে উঠছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। এ দিকে এবার এ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে অনেকেই ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। কিন্তু অপপ্রচার চালানোর কী আছে? আমরা দেশের মানুষের জন্য রিজার্ভ খরচ করেছি। যদি দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে তাহলে রিজার্ভ থেকে কী হবে?
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত ৫৯ জন চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা দখলে নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হননি। বরং জনগণের সেবা করার জন্য আপনাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাই আপনি যদি নিজেরা ভোগ করতে চান তবে আপনি একবারে চলে যেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি তা করতে পারলে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যেই বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্ম’ম’ভাবে’ ‘হ”ত্যা’ করা হয়।
১৫ আগস্ট পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, রেহানা ও আমি বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। আমি একজন উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোস্তাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একদিকে নিজেকে সেনাপ্রধান, অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। ”হ”ত্যা’কা’রীদের ক্ষতি’পূরণ দেওয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
শুরু হয় দায়মুক্তির সংস্কৃতি। আর আমাদের দেশে না আসার নির্দেশ দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান রেহানার পাসপোর্টও নবায়ন করেননি। নিষিদ্ধ. আমি ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরেছি।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান তাদের সবাইকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসান।
বিএনপির গঠনতন্ত্র প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা নিজেরাই চেয়ারম্যান করেছেন। জিয়াউর রহমান আমার বাবা-মা ও ভাইকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দল আবার এত কথা বলে কী করে? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে, আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি
উল্লেখ্য, এ দিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক অর্থদাতা সংস্থার সাথে চলছে আলোচনা। বিশেষ করে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার একেবারেই দাঁড় প্রান্তে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও ঋণ দিতে পারে বিশ্ব ব্যাংকও বলে জানা গেছে।