সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর একটি বক্তব্য নিয়ে আ.লীগ নেতারা সমালোচনা করেছেন। তারা বলেন, রিজভী যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছে সেটা এক ধরনের অপরাধ এবং তিনি আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন প্রত্যক্ষভাবে যেটা আরো অপরাধ করেছেন রিজভী। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অতিসত্বর নেওয়া উচিৎ, এমনটাই বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘২১শে আগস্ট গ্রে”নে/ড হামলার বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ এবং ফৌজদারি অপরাধ। এ জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রিজভী ২১ আগস্টের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদেশিদের দায়ী করছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতে চ্যালেঞ্জ এবং ফৌজদারি অপরাধ। আমি মনে করি তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। কারণ ২১শে আগস্ট গ্রে’নে’/ড হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ পূরণের পর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বিচারে অনেকের ফাঁ”সি হয় এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আদালতের মীমাংসা ও সা”জা নিয়ে এ ধরনের কথা বলা আদালত অবমাননা, আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ।’
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে সেচ ও কৃষিকাজের সুবিধার্থে গ্রামে লোডশেডিং কমাতে সাময়িকভাবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমের ধান সেচ ও সূর্যালোকের ওপর নির্ভরশীল। তখন সেচের প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু এ বছর অপর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ধান বপন ও অন্যান্য কৃষিকাজ করতে পারছে না। এখন যদি তাদের আমরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ দেই, সেটি খুব বেশি কাজে লাগবে। ১০-১৫ দিন পরে দেওয়া শুরু করলে তো কাজে লাগবে না।’
একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “উন্নত দেশসহ সারা বিশ্বে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে পানি গরম করার জন্য যে বিদ্যুৎ সেটার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের মত দেশটিতেও সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়ে থাকে। জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশে নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশগুলোর এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। কিন্তু আমাদের দেশে এখন সব স্থানে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার বিরূপতার কারণে খরা চলছে। আমাদের দেশে কৃষকদের দিকে তাকিয়ে তাদের ফসলের যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকার নানা ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।