Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / opinion / রিচার্ড নেফিউ এর কথা অনুসারে হাসিনা পুত্রকে কেবল নিষেধাজ্ঞাই দেয় নাই, আসল কাজটাও করে দিয়েছে : শামসুল

রিচার্ড নেফিউ এর কথা অনুসারে হাসিনা পুত্রকে কেবল নিষেধাজ্ঞাই দেয় নাই, আসল কাজটাও করে দিয়েছে : শামসুল

আসুন একটু ভিসা স্যাংশন নিয়ে পড়াশোনা করা যাক_________
বাংলাদেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী গতকাল নিউইয়র্কে কথা বলতে বলতে বলে ফেলেছেন যে, তার পুত্রের ভিসা স্যাংশন, মানে গ্রীন কার্ড বাতিল, এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত সবকিছুই হয়েছে। তিনি যখন বলেন, করতে পারে, মানে অলরেডি ডান।
বাংলাদেশের বহু লোকের উপরে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভিসা স্যাংসনের আওতায় যে শত শত হাজার হাজার লোক এসেছে তার পূর্ণ তালিকা কোন প্রকাশ হয়নি, আস্তে আস্তে আসতেছে। ভালো কথা।

সচেতন সমাজ দেখতে পেয়েছে যে নিউইয়র্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছেন এবং তাদের হাতে কতগুলি কাগজ ছিল, ধারণা করা যায় ওগুলি হল সেই তালিকা যেটা ওনাকে দেখিয়েছেন এই সাক্ষাতে পরেই তাদের সবকিছু উলট-পালট হয়ে যায়, নিরাপত্তা বাহিনীকে ডেকে বলেন, সবাইকে প্যাক-আপ করতে বলো, আমি ফেরত যাব। তার কারণ হচ্ছে ওনার থাকা অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্র এরকম একটি অঘটনা ঘটাবে, এটা তাদের চিন্তারও বাইরে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে ভিসা স্যাংকশন, কিন্তু দেশের বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী বলতেছেন, তার ছেলের সহায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কথা- তার মানে দাঁড়াচ্ছে, অনেক বড় কিছু ঘটেছে। আর সেটা কি ঘটেছে তা আমরা দেখার জন্য আমরা চলে যাব মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ কাছে। নেফিউ ঢাকা এসে বলেছিলেন, যে তারা মানি লন্ডারিং করা অবৈধ সহায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। তার মানেটা হচ্ছে, কেবল পুত্রকে নিষেধাজ্ঞাই দেয় নাই, আসল কাজটাও করে দিয়েছে। আর এরকম সহায়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত আরও অনেকের ক্ষেত্রেই হবে। বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। জাতি এরকম একটা সুখবর ওনার কাছ থেকে পাওয়ায় ভালই হলো॥

এবার আসা যাক, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সুবিধাভোগী পরিবারসহ শত শত বা ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ।যুক্তরাষ্ট্র যাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়েছে, তারা সপরিবারে এটা পাবে। পরিবারে বলতে কতটুকু বোঝায়? অনেকের মনে করতেছেন, যার উপরে দিয়েছে, কেবল তার সন্তান পর্যন্ত! নো, জনাব। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফরম পূরণ করতে গেলে আপনি দেখবেন ব্যক্তি, এবং তার স্পাউজ, সন্তান-সন্ততি, বাবা-মা, ভাই বোন, তাদের সন্তানরা এবং শ্বশুর শাশুড়ি এরাও অন্তর্ভুক্ত হয়। তাই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞায় কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার পুরা গুষ্টি শেষ!

বাংলাদেশের মিলিটারী, আমলাতন্ত্র, জুডিশিয়ারী, পুলিশে, বড় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সমাজ, মোটকথা এলিট ক্লাশের শত ভাগ লোকের কেউ না কেউ আছে আমেরিকা! তাই এক পুলিশকর্তা যেমনটা বলে খুশি যে, “আমার কেউ থাকেনা আমেরিকা” – ব্যাপারটা অমন নয়। খুঁজে দেখেন এলিটদের প্রায় শতভাগেরই কেউ না কেউ আছে। অর্থাৎ কারো উপরে স্যাংকশন হলে তার বৃহত্তর পরিবারের কেউ না কেউ ঝামেলায় পড়বেই। এখন স্যাংকশন লীগ দিনব্যাপী ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য যতই চেষ্টা করুক না কেনো, এগুলা কোন কাজে লাগবে না মানুষের যখন পেটে বা পরিবারে যখন আঘাত পড়ে, তখন আর মানুষ অন্য কোন দিকে তাকায় না। এই সব্যাংকশন আপনাদেরকে কোথায় নিয়ে যায় এবং কত হাজার নিয়ে ঠেকায় এটা টের পাবেন। এর কাঙ্খিত ফল হতে বাধ্য। আল্লাহ ভরসা।

✍- শামুল আলম

About Zahid Hasan

Check Also

যে কারণে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে বললেন সাংবাদিক ইলিয়াস

বিশিষ্ট সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (২০ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *