সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের এক মামলায় গ্রেপ্তারের পরপরই টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তের এক পর্যায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্ত্রী চুমকি কারনসহ প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে আরেক মামলা দায়ের করে দুদক।
আর আজ এ মামলার ঘোষণার সময় আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে বেশ নির্ভার দেখা গেছে।
বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি করণকে যথাক্রমে ২০ ও ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রদীপের পরনে ছিল সাদা হাফ শার্ট ও জিন্স। দুই নারী পুলিশ সদস্যের মাঝে বসে ছিলেন চুমকি।
বেলা ১১টার দিকে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় প্রদীপকে লোহার বেষ্টনীর গ্রিলে মাথা আটকে থাকতে দেখা যায়। তার মুখে মাস্ক ছিল। তিনি তখন এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত ২০ মিনিটের জন্য মুলতবী করা হয়। এরপর প্রথমে প্রদীপকে এজলাস থেকে বের করে পুলিশি পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারও ২০ মিনিট পর চুমকি করণকেও আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় টিভি ক্যামেরা দেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন চুমকি।
এদিকে আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ঠ প্রকাশ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)। সংবাদ মাধ্যমকে তারা জানান, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ আদালতে প্রমানিত হওয়ায়, আদালত তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন।