একটা সময়ে রাস্তায় রাস্তায় বাদাম বিক্রি করে সংবাদ চালাতেন আজিজুল ইসলাম। কোনোদিন এক বেলা, আবার কোনোদিন দু-বেলা খেয়েও দিন গেছে তার। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে মা/দ/ক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আজিজুল ইসলাম। আর এরই ধারাবাহিকতায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কোটিপতি বনে যান তিনি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও আজিজুল ইসলাম।
তবে সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তিনটি কনটেইনার /ম/দ/ খালাসের প্রতারণার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আজিজুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জে মায়ের স্বপ্নের গোল্ডেন গার্ডেন নামে একটি ভবনের মালিকও।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, প্রাইমারি স্কুলের বাধা পেরিয়ে রাস্তায় রাস্তায় অভাবের কারণে বাদাম-আর-আইসক্রিম বিক্রি করেছেন। এরপর রাতারাতি হঠাৎ উত্থান ঘটে মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম। রাতারাতি বনে যান টাকার কুমির। দুই ছেলেকে নিয়ে গড়ে তোলেন দেশের বড় /মা/দ/ক সাম্রাজ্য।
টাকার জোরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হন। তিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে ইউপি চেয়ারম্যানের পদও দখল করেন। ত্যাগী নেতাদের ওপর শুরু হয় অ/ত্যা/চার নি/পীড়ন।
র্যাবের অভিযানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। গ্রেফতার করা হয় তার ছোট ছেলে আহাদকে। তবে আজিজুল তার বড় ছেলে আশিককে নিয়ে দুবাই পালিয়ে যান। তার অপর ছেলে ও স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে আজিজুলকে প্রধান আসামি করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঐ আওয়ামী লীগ নেতাসহ বাকীদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার আজিজুলের ছোট ছেলে আহাদকে খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানা যায়।