Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যকে, তারপর তার সাথে ঘটে গেল দুঃখজনক ঘটনা

রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যকে, তারপর তার সাথে ঘটে গেল দুঃখজনক ঘটনা

পুলিশ হলো জনগনের বন্ধু। জনগনের সার্বিক নিরাপত্তা প্রধান করাই পুলিশের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। পুলিশ না থাকলে সমাজে মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারতো না। তারা জনগনের সেবায় নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়। সম্প্রতি জানা গেছে এক পুলিশ সদস্য রাজধানীতে লরি চাপায় পুলিশ কনস্টেবল প্রয়াত হয়েছেন।

রাজধানীর উত্তরায় লরির ধাক্কায় কাজী মাসুদ (৩৮) নামে এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুর-টঙ্গী সেতুর ১০০ গজ দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৭ আগস্ট)। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন।

আব্দুল্লাহপুর এলাকার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট এসএম নকীব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে যখন এ ঘটনা ঘটে তখন আমি পুলিশ বক্সের ভেতরে ছিলাম। পরে আশেপাশের লোকজন আমাকে জানায়, একজন পুলিশ সদস্যকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে। মাসুদকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির বলেন, লরিচাপায় এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লরিটি জব্দ করা হয়। তবে লরির চালক পালিয়ে গেলেও গ্রেফতার করা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের কপাল ও বুকে অনেক আঘাত লেগেছে। নিথরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. বদরুল হাসান জানান, রাতে আবদুল্লাহপুর এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ প্রয়াত হন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উত্তরা পূর্ব জোনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে। মাসুদ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দোপাখালী গ্রামের কাজী হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে। রাজধানীর দক্ষিণখান জয়নাল মার্কেটের নাভিল ভিলায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভবিষ্যত অনিশ্চিত তাই কার ভাগ্য কখন কি ঘটবে সেইটা কেউ জানেনা। এই পুলিশ সদস্য তার দায়িত্ব পালনের সময় এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তার পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। দায়িত্ব এমন একটি জিনিস যেটা কখনো এড়ানো যায় না।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *