বাংলাদেশের সব থেকে ভাইরাল একটি ডায়লগ হলো খেলা হবে। আর এই খেলা হবে জনক হলেন দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শামীম ওসমান। তবে এই খেলা হবে নিয়ে এবার বেশ আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তায় আমার গাড়ি দেখলে ফুল বিক্রেতা সাধারণ মানুষ বলে ‘খেলা হবে’। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সময় উভয় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল যে খেলা হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন খেলা হবে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও বলেছেন খেলা হবে। এটা একটা রাজনৈতিক গুজব।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে আওয়ামী লীগের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বলতে চাইছি বিএনপির অনিয়ম, দুঃশাসন, হাওয়া ভবন কেলেঙ্কারি, আগুন, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে। এটা একটা রাজনৈতিক গুজব। নরেন্দ্র মোদীও তা বলেছেন, মমতাও বলেছেন, খেলা হবে। দেশের মানুষও মনে করে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিএনপির আগুন জ্বলবে। তারা এখন বৈঠক করছেন। সামনে তারা আগুন নিয়ে খেলবে। কিন্তু আমাদের খেলা আগুন নিয়ে নয়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যাই বলুক না কেন, আগামী নির্বাচনে তারা আসবে। আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনে আসারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরাও চাই তারা নির্বাচনে আসুক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের কোথাও কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বাংলাদেশেও আদালতের রায়ে তা বাতিল হয়েছে। তাই দেশে বর্তমানে একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন রয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন রয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সরকার শুধু নির্বাচনকালীন সময়ে তার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সবকিছু নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই বিএনপি যাই বলুক না কেন, শেষ মুহূর্তে তারা নির্বাচনে আসবে।
বিএনপির সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। কারণ পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করেন জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা যিনি সভাপতি হন। আর বাসদ নেতা হলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। ফলে তারা এটা বলতে পারে।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম গুরুত্তপূর্ণ একজন নেতা। টানা দুই বারের মোট দায়িত্ব পালন করে আসছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। এ ছাড়াও সামলাচ্ছেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়।