বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত বিষয় হচ্ছে কে হচ্ছে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। আর এই নিয়ে এখন আলোচনা চায়ের দোকান থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত। এ দিকে দেশে প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পিকার পদে দুই নারীকে নির্বাচিত করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার সভাপতি ও স্পিকার পদে চমক থাকতে পারে। আর তা হলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের মতো রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন নারীরা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি পদে একজন নারীর নাম চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তা হলে দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
একই সঙ্গে স্পিকারের পদ শূন্য থাকলে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত কে হতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সংসদের স্পীকার পদে এখন পর্যন্ত সরকারের শীর্ষ পছন্দ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার পদে একযোগে মনোনয়ন ঘোষণা হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সরকারি সূত্র দাবি করছে। তবে এ পদে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরশীল। শেষ পর্যন্ত, তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে, এই দুই মহিলাই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার।
যেহেতু সাংবিধানিকভাবে দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই, তাই তার জায়গায় নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। বাছাই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এবং দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ভোট) ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে চলতি বছরের আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। যেহেতু দেশের সংবিধান অনুযায়ী দুই বারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারবে না তাই এবার আবদুল হামিদকে সরিয়ে তার জায়গায় দেয়া হবে নতুন কাউকে। তবে এ নিয়ে এখনো আসেনি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত।