দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের পছন্দ হয়েছে সাহাবুদ্দিন চপ্পুকে। আর ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচিত হয়ে গেছেন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবেও। গেল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
সকাল সাড়ে ১০টার পর চুপ্পু গাড়িতে করে নির্বাচন কমিশন চত্বরে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, চুপ্পুরের একমাত্র ছেলে আরশাদ আদনান রনি ও দুই নাতি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার পর চুপপুরের একমাত্র ছেলের কদর বেড়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ সেখানে উপস্থিত সবাই তাকে ঘিরে ফেলেন। চুপপুরের ছেলে রনির মোবাইলে ওই নেতার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটি সেভ ছিল। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন পাওয়া চুপ্পু ও তার পরিবারের প্রশংসায় মুখরিত সবাই। রাষ্ট্রপতির ছেলে হিসাবে, তারা তার সাথে ঘনিষ্ঠ এবং আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করে। আরশাদ আদনান রনিও হাসিমুখে শুভেচ্ছার জবাব দেন।
ওই ছবিতে আরশাদ আদনান রনিকে ঘিরে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের আলোকচিত্রী ইয়াসিন কবির জয়। এ সময় তার সঙ্গে অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আরশাদ আদনান রনি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন পর্যায়ে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দেন এবং নেন।
প্রসঙ্গত, একেবারেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাহাবুদ্দিন চপ্পু। তার জায়গায় আর কাউকে আসতে দেয়নি ক্ষমতাসীন দল। এখন শুধু শপথ পরে পদে অধিষ্টিত হওয়ার অপেক্ষা।