Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / opinion / রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হারিস-জোসেফের ভাইদের জেনারেল বানানো হয়,ওখানে খুব নিরাপত্তা দরকার:জুলকারনাইন

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হারিস-জোসেফের ভাইদের জেনারেল বানানো হয়,ওখানে খুব নিরাপত্তা দরকার:জুলকারনাইন

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার একটি গ্যাজেট প্রকাশ করে।আর সেই গ্যাজেট নিয়ে বর্তমানে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। বিশেষ করে এমন এমন কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে তা অনেক বেশি নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে আগের থেকেই। আর এই কারণেই এবার এ নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন জুলকারনাইন সায়ের। পাঠকদের উদ্দ্যেশে তা তুলে ধরা হলো হুবহু:-

বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকার কিছুদিন আগে গেজেট করে কিছু প্রতিষ্ঠান ও অফিসকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাঠামো ঘোষনা করেছে। যদিও পরে বলেছে এর মানে হলো এসব প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে অনধিকার প্রবেশ রহিত করতে এটা করা হয়েছে। বাংলাদেশের যে কোন সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে হ্যাকিং বা অনধিকার প্রবেশ করা বহু আগে থেকেই অপরাধ বলে পরিগণিত হয় । তাহলে কেন এই বিশেষ গেজেট?

টিআইবি বলেছে , কম্পিউটার শব্দটি উল্লেখ না করে মূলত পুরো প্রতিষ্ঠানকেই তথ্য জানবার আওতা থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে যাতে ইচ্ছামতো যে কাউকে তথ্য প্রকাশ করলেই তাকে হ্যাকার বানিয়ে দেয়া যায়।

মনোযোগ দিলে দেখবেন যে প্রথমেই রাখা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। যেখান থেকে সন্ত্রাসী হারিস-জোসেফের ভাইদের জেনারেল বানানো হয়। সম্রাট আর বদির মতো অপরাধী মাফিয়াদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় আর সিনহা বা সাগর রুনী হত্যার গোপন প্রতিবেদন ধামাচাপা দেয়া হয়। গুমখুনের সদর দপ্তর সুরক্ষা পাবে এটাই তো স্বাভাবিক।

তারপর আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই শাসনামলে কারা কারা কর মওকুফ পেয়েছে সেই তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে কেন রাজস্ব বোর্ড এর তথ্য সুরক্ষা দরকার। এস আলম বা সামিট বা বসুন্ধরার করের হিসাব দেখলে বোঝা যাবে কিভাবে রাষ্ট্র অলিগার্কদের লালন পালন করছে।

আছে সেতু বিভাগ। বলার অপেক্ষা রাখে না কেন? কারণ ভুল নকশা থেকে শুরু করে সকল সেতুর নির্মান খরচ তিনগুন হয়ে যাওয়ার হিসাব তো লুকিয়ে রাখতেই হবে।

আছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট। নামে বেনামে পাসপোর্ট ইস্যু ও সময় মতো রাজাপাকশের মতো পলায়নের জন্য এই জায়গাটির সুরক্ষা দরকার বটে।

সরকারী ডাটা সেন্টার এমনিতেই সুরক্ষিত। এটাকে আবার আলগা সুরক্ষা কেন? কারণ জিডিপির ভুয়া হিসাব থেকে জনসুমারির ভুয়া হিসাব , সব আছে সেখানে।

টেলিযোগাযোগ , স্যাটেলাইট কোম্পানি দুটোর তথ্যও বিরাট দামী । এর কারণ না বললেও লোকে বোঝে। এই স্যাটেলাইট চলছে লোকসানে। এর কোন লাভ নাই । উজবেকিস্তানের ওপর দিয়ে যার ফুটপ্রিন্ট, যার সিগন্যাল পেতে গলদঘর্ম হতে হয় সেই স্যাটেলাইটের তথ্য কি সহেজে দেবে তারা?

এন আই ডিও একই ঘটনা। রাতের ভোট আর দিনের ভোট। ভোটার তালিকা বাড়া কমা। সবই তো সেখানে।
সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট মানেই কেন্দ্রীয় কেনাকাটা। এটাও ভিষন গোপনীয়।

সোনালী অগ্রনী জনতা রূপালী, এই চার ব্যাংকের শত শত কোটি টাকার দূর্নীতি প্রায় কিংবদন্তি হয়ে গেছে। হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ। আননটেক্স । এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের নামে রিজার্ভের সাত বিলিয়ন ডলার লোপাট। এসব ঢেকে রাখার জন্য এখন ব্যাংকের তথ্যও বড়ই গোপনীয়।

লসের কারখানা বিমান। যে বিমানকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেন মহারানী ওহ সরি প্রধানমন্ত্রী। নতুন কেনা বোয়িং এর মূল‍্য পরিশোধ করতে হবে রিজার্ভ থেকে, কারণ বিমান আছে আগের মতোই লসে। এটার চুরি চামারি ও ক্ষয়ক্ষতি ঢাকতে তো হবেই।

রুপপূর পরমাণূ কেন্দ্র। তিনগুন বেশি টাকা খরচ করেও এটার কাজ শেষ হয় নাই। এই পারমানবিক লুটপাট এর কথা মানুষ কি ভুলেছে যেখানে বালিশ আর পর্দার দাম দেয়া হয়েছে ষাট সত্তুর হাজার টাকা? তাই এটাও আছে তালিকায়।

আছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। হারিস-জোসেফদের অবাধ যাতায়াত, লুটেরাদের অবাধ যাতায়াত আর নিজেদের পলায়নের জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে বড় প্রয়োজন। তাই গোটা পুলিশ নয়, শুধু ইমিগ্রেশন পুলিশ।
সিভিল এভিয়েশন। টার্মিনাল বানানোর পুকুর চুরি ঢাকতে হবে, এটাতো দরকার।

বিদ্যুত আর গ্যাস। পাওয়ার গ্রীড। লুটপাটের সর্ববৃহৎ এই খনিটির তিন প্রতিষ্ঠান তালিকায় না থেকে কি যায় । এই মন্ত্রনালয়ের প্রধান আবার মহাপরাক্রমশালী প্রধানমন্ত্রী। ক্যাপাসিটি ফি এর নামে হরিলুট এর টাকা দিয়ে শ্রাদ্ধ হবে জনগণের। আদানির বিদ্যুত কিনতে হবেই তাকে।

টাকা পয়সা, সেন্ট্রাল ডিপজিটরী। বোঝাই যায় কেন? টাকা ছাপা চালু থাকবে। সম্পদ থাকুক আর না থাকুক।

জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন। জনসংখ্যার হিসাব কমানো বাড়ানোর সাথে জিডিপির ভুয়া হিসাব। আবারো জোসেফদের বাপ মা শ্বশুর শাশুড়ির নাম ধাম জন্ম তারিখ বদল। কাক পক্ষীও জানতে পারবে না।

সবশেষে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন। ঢাকা ও চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ। শিবলি-নাফিজ-সালমান ও সাকিবদের হরিলুটের আড্ডা। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ডিএসই সিএসই এখন সুরক্ষিত তথ্য ভান্ডার।

পুরো তালিকা জুড়ে লুটপাটের প্রতিষ্ঠান , ব্যাংক আর শেয়ার। তার সাথে পলায়নের রাস্তা ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট আর বিমান। জাতির কষ্টার্জিত সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জায়গাগুলির নাম।

একটি অত্যাচারী , অধিকারহরনকারী রাষ্ট্র ও সরকার এভাবেই নিজের কাজের মধ্য দিয়েই নিজেদের চরিত্র প্রকাশ করে দেয়।

এই তালিকা করে তারা বরং বলে দিলো তাদের কুকীর্তির তালিকা খুঁজতে হলে এসব জায়গায় ঘাটাঘাটি করলেই সব পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত,এ দিকে সরকার কতৃক প্রকাশিত এই গ্যাজেটকে বলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও এই গ্যাজেট এ আরো আনা হতে পারে সংস্কার।

About Rasel Khalifa

Check Also

আগামীকাল ক্যান্টনম্যান্টে হামলার পরিকল্পনা করেছে আঃলীগ, মিটিংয়ের ভিডিও আসছে: ইলিয়াস হোসেন

ড. বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল শীঘ্রই মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে খুব …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *