একজন রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রথম সিটিজেন অর্থাৎ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি অতি সম্মানীয় একজন ব্যক্তি। একজ রাষ্ট্রপতির সাধারণত অনেক ক্ষমতা থাকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন আবদুল হামিদ। তিনি এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার থেকে খুব সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রতীক হলো পদ্মা সেতু।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন দেশ ও জনগণকে বিশ্ব দরবারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। অশান্ত পদ্মার বুকে আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু জাতির গর্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব অর্জনের অগ্রভাগ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সেতুর বাস্তবায়ন আমাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা, দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে বিশ্ব দরবারে আত্মবিশ্বাসের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফসল পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়ন। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো। সেতুটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি পদ্মা সেতুর মতো দেশের সব মেগা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হলেন একজন রাহনীতিবীদ। তিনি বাংলাদেশের ২১ তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অনেক ভদ্র এবং জ্ঞানী একজন মানুষ। তিনি বাংলাদেশের মানুষদের জন্য আদর্শ।