বর্তমান সময়ে দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। পূর্বে দায়িত্বে থাকা বিচারপতির মেয়াদকাল শেষ হওয়ায় আগেই দেশের ২৩তম প্রধান নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ৪ জনের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত জানালে এই নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এদিকে নতুন বিচার প্রতি নিয়োগ প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা এখনো আসেনি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন প্রধান বিচারপতি। তারপরই (নির্দেশনা) আসাটা আমার মনে হয় সঠিক হবে। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তার বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা যায়। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদকাল ডিসেম্বরেই শেষ হতে চলেছে। তবে এর আগেই নিয়োগ দেওয়া হবে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি। কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি, এ নিয়ে চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের জল্পনা-কল্পনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ।
দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অতীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করার প্রথা যেমন রয়েছে তেমনি তাকে ডিঙিয়ে অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠ বিচারপতিকেও নিয়োগ দেওয়ার নজির রয়েছে। যদিও সংবিধানে এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। রাষ্ট্রপতি যাকে চাইবেন, তাকেই তিনি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। প্রধান বিচারপতি অবসরে গেলে আপিল বিভাগে আর চারজন বিচারপতি থাকবেন। এই চারজন থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। তবে আপিল বিভাগের তিনজন বিচারপতি ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের আলোচনায় আছেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান (ননী)।
উল্লেখ্য, অবশ্যে ২২তম প্রধান বিচারপতির পূর্বে থাকা বিচারপতির বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এমনকি অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তার সাজার রায় দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। অবশ্যে এমন ঘটনায় দেশ জুড়ে বিভিন্ন শ্রেনীর বিভিন্ন পেশার মানুষের মনে নানা প্রশ্নও উঠেছে।