অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ক্রাইম সানজিদা আফরিন নিপা বিয়ে করেছেন বলে গুঞ্জন ওঠে। একটি ছবিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ছবিটি এডিট করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। সেটি হারুন-সানজিদার বিয়ের ছবি নয়।
সানজিদার পরিবার জানায়, হারুনের সঙ্গে সানজিদার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের বিয়ে হয়নি। পুলিশে কাজ করে বলেই তারা সহকর্মী।
সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন। তার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তবে এই বিয়েতে সানজিদার সায় ছিল না বলে জানা গেছে।
সানজিদার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সানজিদা আফরিন নিপা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বিলডগা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত এম হোসেন আলীর সন্তান। তার বাবা প্রাইমারি স্কুল এবং পরে হাইস্কুল পড়ান। এ ছাড়া তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সাতবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হোসেন আলী দীর্ঘদিন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। সানজিদা আফরিন নিপা তার চার মেয়ের মধ্যে তৃতীয়। বড় মেয়ে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। দ্বিতীয় মেয়ে ডাক্তার। ছোট মেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।
সানজিদার বড় বোন হোসনে আরা কামনা জানান, এডিসি হারুনের সঙ্গে সানজিদার ছাড়াছাড়ি হওয়ার তথ্য মিথ্যা। কারণ তাদের বিয়েই হয়নি।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের সাথে সানজিদার বিয়ে হয়েছে। এডিসি হারুন তার কলিগ (সহকর্মী) মাত্র। তার সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি। বিয়ে না হলে তো ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই অপপ্রচারে তারা বিব্রতবোধ করছেন বলে তিনি জানান।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত আছেন। সানজিদা ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগ দেন।
সানজিদার পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়। কিন্তু সানজিদা এই বিয়েতে রাজি হননি। এ কারণে বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে সঙ্গম হচ্ছিল না। সানজিদা দীর্ঘদিন স্বামীর জেলা গাজীপুরে এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নাগদা শিমলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (বিবাহ কাজী) আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে প্রসঙ্গে শামছুল হক বলেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ১০ মার্চ তাদের বিয়ে হয়।