শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দুজনকে বদলি করা হয়েছে। তবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনার পেছনের কারণ খুঁজে বের করা দরকার। ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালে। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, বারডেম হাসপাতালে থানা ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনা শুরু হয়েছে। এর আগে বরখাস্ত এডিসি হারুনের ওপর রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন হামলা চালিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সেটাও তদন্তের আওতায় আসা উচিত।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। .
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: এডিসি হারুন সম্পর্কে কি বললেন ডিবি প্রধান হারুন
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডিএইচএ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, রমনা থানার এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ তাদের মারধর করে। এদিকে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখ খারাপভাবে ক্ষতবিক্ষত ছিল।
ঘটনার বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পুলিশের ৩১ ব্যাচের এডিসি হারুন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। মহিলা কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। এডিসি হারুনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ কারণে পুলিশ ডেকে তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়।