Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / opinion / রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েও যে কোনো দেশ উন্নয়নের স্তরে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শেখ আহমাদুল্লাহ। শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিভিড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো—

বিগত ৫০ বছর যাবৎ দেশের সকল সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করছে কথিত প্রগতিশীল শক্তি। এরা সব সময়ই ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছে— উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ধর্ম। অথচ ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েও যে কোনো দেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারে, তার বড় উদাহরণের নাম মালয়েশিয়া।

তাদের (মালয়েশিয়ার) সংবিধানের ৩ (১) ধারায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উল্লেখ করে অন্যান্য ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। সেখানকার মোট জনগোষ্ঠীর ৬০-৬৫ শতাংশ মুসলমান। তার ওপর ভিত্তি করে তারা যদি ইসলামকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রে রাখতে পারে, সব কাজে ইসলামকে ধারণ করে তারা যদি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, তবে বাংলাদেশে সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায়?

শুধু মালয়েশিয়াই নয়, এমন আরও বহু দেশ রাষ্ট্রধর্মকে স্বীকার করে তার আলোকে দেশ পরিচালনা করে এগিয়ে গেছে। চোখের সামনে উন্নতির এমন জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ থাকার পরও ধর্মই এদেশের প্রগতিশীলদের প্রধান শত্রু। অথচ যুগের পর যুগ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের বিযুক্তি আমাদের দেশকে কী দিয়েছে, কতটুকু উন্নত করেছে, এটা সময়ের বড় প্রশ্ন। এর চেয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো, তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হতো, যদি তাদের ভেতর এই অনুভব ছড়িয়ে দেয়া যেত যে, তারা বাইরের কেউ নয়, তারা এই দেশের মালিক, তবে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য তারা সবকিছু উজাড় করে দিত। এতে দিনশেষে লাভবান হতো আমাদের এই দেশটাই।

এ স্ট্যাটাসের সঙ্গে একটি কমেন্টও জুড়ে দেন ইসলামিক এ স্কলার। সেখানে তিনি লেখেন, মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। সেখান প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। আইকনিক কোনো ইসলামিক ব্যক্তিত্ব দেশে এলে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল দেওয়া হয়। সেখানকার মন্ত্রী, এমপিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ইসলাম পালনের চেষ্টা করেন। নারী পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব আছে। এগুলোর কোনোকিছুই যদি মালয়েশিয়ার উন্নতির পথে অন্তরায় না হয়, তবে বাংলাদেশে বাধা কোথায়!

আরেক কমেন্টে জনপ্রিয় এ ইসলামি আলোচক বলেন, গুটিকয়েক প্রগতিশীল এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পলিসি নির্ধারণ করে আসছে। সংখ্যাগরিষ্ঠরা কিছু বললেই তাদেরকে বিভিন্ন রাষ্ট্রে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এভাবে দিনের পর দিন জনগণের গণআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হবে, এটাই কি কথিত প্রগতিশীলদের গণতান্ত্রিক আচরণের স্বরূপ?

About Nasimul Islam

Check Also

এক ফ্যাসিস্টকে বিদায় করেছি, অন্যটাকে জায়গা দেওয়ার জন্য না : সারজিস আলম

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *