ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য অনেক শিক্ষার্থী হলে প্রক্সি নিয়ে প্রবেশ করেছেন। তর মধ্যে প্রক্সি দিতে সাহায্য করা চরজনকে আকট করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় । এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা বাদে বেরিয়ে আসে এই চক্রে মূল হোতার নাম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা।
বায়েজিদ খান নামের এক গ্রেফতারকৃত প্রক্সিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণা চক্রের মূল পরিকল্পনাকারীর কথা জানা গেছে। তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমীদ তন্ময় তাদের ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে নিয়োগ দেন ‘প্রক্সি’ দেওয়ার জন্য।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রেকর্ড করা এক মিনিটের ভিডিওটি সংরক্ষণ করেছেন এনটিভি অনলাইনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তবে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, প্রক্সি জালিয়াতিতে ধরা পড়া বায়েজিদ একে একে একেকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
এনটিভি অনলাইনের এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত ভিডিওতে দেখা যায়, বায়েজিদ জিজ্ঞাসাবাদে প্রশিক্ষক হিসেবে ছাত্রলীগ নেতার নাম বলছেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রক্সি দিতে সকালে ক্যাম্পাসে আসেন। প্রক্সি দেওয়ার আগে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন নেতার কাছে জমা দেন। এসএম হলের দ্বিতীয় তলায় থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এই নেতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, “প্রক্সি জালিয়াতিতে ধরা পড়া বায়েজিদ প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করেছেন। এতে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখবে। এতে প্রক্টরিয়াল বডি হবে। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করুন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বায়েজিদের দাবি করা চক্রের নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোককথা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্র। এ ছাড়া প্রক্সি বায়েজিদ খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের একই সেশনের ছাত্র।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে আমি কেন্দ্রীয় কমিটি ও আমার সভাপতির সঙ্গে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে ধরাপড়া ওই চরজনের শাশ্তি হলেও এই ঘনার সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতাকে এখনো আটক করেনি পুলিশ।