পরীক্ষার হলের নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ, আনসার বাহিনী,পুলিশ ও শিক্ষকেরা। কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে তারা। তবে কিছু দুষ্টু লোক রয়েছেন যারা পরীক্ষার নিয়মের বাইরে গিয়ে নানা রকমের পন্থা অবলম্বন করে অসৎ ভাবে পরীক্ষা দেয়। সম্প্রতি এমনি একটা ঘটনা ঘটেছে। যার সহযোগিতায় ছিলেন এক ডাক্তার।
নাকে-মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে রোগীর সাজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসেন সমীর রায় নামের এক চিকিৎসক। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় সমীর রায় ও প্রধান পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ড. সমীরকে এক বছর এবং মূল পরীক্ষার্থীকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ড. সমীর রায় নিজেকে খুলনা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং খুলনার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রভাষক বলে দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর এসব তথ্য জানিয়েছে।
জনসংযোগ বিভাগের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সমীর রায় রাহাত আমিন নামের এক ব্যক্তির পক্ষে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন। চেনা না হওয়ার জন্য মাথায়, নাকে ও হাতে ব্যান্ডেজ পরিয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন। তিনি নিজেকে খুলনার একটি মেডিকেল কলেজের প্রভাষক দাবি করেন। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রক্সি দিতে আসা রাহাত আমিনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই দিনে (মঙ্গলবার) গ্রীষ্মকালীন রায়ের আগে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ড. তাদের এক বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান, জনপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকগান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বায়োজিদ খান।
এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষায় নকল করে উত্তীর্ণ হওয়ার মতো ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে। এই জন্য স্কুল-কলেজ কৃতি পক্ষকে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন সরকার।