অভিনেত্রী হুমাইরা হিমুর মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া পরিণত হয়েছে শোকের খাতায়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হিমুর কথিত প্রেমিক জিয়াউদ্দিন রাফির নাম। এদিকে হিমুর প্রেমিক রাফিকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে জানা গিয়েছিল রাফির সঙ্গে রফির হৃদয় বিদারক সম্পর্ক ছিল। বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু হিমুর খালা বিয়েটা পছন্দ করেননি। গণমাধ্যমকে এ কথা জানান হিমুরের খালা। হিমুর মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি যতদূর জানি, হিমু ওই বন্ধুর সঙ্গে বিগো অ্যাপস থেকে দেখা হয়েছিল। তিনি একজন ভালো প্রেরক। আমি তাকে (হিমু) বললাম, তুমি বেঁচে থাকো, সাপোর্ট করো কিন্তু বিয়ে পর্যন্ত যাবে না। মাত্র চার-পাঁচ দিন আগে তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তার প্রেমিকের নাম জিয়াউদ্দিন। তার আইডির নাম রুফি (রাফি)। আসল নাম জিয়াউদ্দিন রুফিয়া। হিমুও তাকে ব্লক করে দেয়
তিনি আরও বলেন, ‘মিহির ঘটনাস্থলেই ছিল। তিনি হিমুর বোন নন, মেকআপ আর্টিস্ট। রুফি কখন হিমুর বাসায় গিয়েছিল সে ভালো বলতে পারবে। যতদূর শুনেছি, দুপুরের পর রুফি সেখানে যায়। তারপর তাকে ও মিহির হাসপাতালে নিয়ে আসে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে হিমুর মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় রুফি।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোরশেদ আলমও রাফির সঙ্গে হিমুর বিয়ের কথা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সে তার প্রেমিক রাফির সাথে তার বিয়ের কথা বলছিল। হুমাইরা হিমুর সাথে রাফিরও কয়েকদিন ঝগড়া হয়েছিল। রাফি হিমুকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। আমরা রাফিকে খুঁজছি। যদি তাকে পাওয়া যায় তবে সে। হুমাইরার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ফ্ল্যাটে ফ্যানের হ্যাঙ্গার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় হিমুর লাশ পাওয়া যায়। এরপর তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হিমু ২০০৫ সালে ছোট পর্দায় প্রবেশ করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। তার অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউসফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’। হিমু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছবিতে অরু চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।