গত বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১০ টার দিকে নোয়াখালীতে সেই স্কুলশিক্ষার্থী তাসনিয়া হোসেন অদিতার (১৪) প্র’য়া’তের ঘটনায় এবার বেরিয়ে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য। জানা যায়, তার’ হ”ত্যা”’কা’রী অন্য আর কেউ নন, তারই প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনি’ই তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অদিতাকে শেষ করার পর ডাকাতির নাটক সাজাতে ভিন্ন এক পরিকল্পনা মোতাবেক কাজও করেন তিনি, কিন্তু কোথায় বলে পাপ বাপকেও ছারে না, অবশেষে ধরা পড়তেই হলো তাকে।
প্রধান আসামি আব্দুর রহিম রনি (৩০) দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, অদিতার সঙ্গে খারাপ কাজে ব্যর্থ হয়ে অদিতাকে প্র’য়াত করে।
শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম।
আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে রনি অদিতার বাড়ির তৃতীয় তলায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। অদিতার বাসার দরজায় টোকা দিলে সে দরজা খুলে দিল। কোচিং টিচার থাকায় অদিতা তাকে ভিতরে বসতে বলে। কিছুক্ষণ কথা বলার পর অদিতা রান্নাঘরে গেলে তাকে পেছন থেকে জ’ড়িয়ে ধ’রেন রনি। খারাপ কাজের উদ্দেশে রনি অদিতার হাত ও’ড়না দিয়ে বেঁধে নেন। তবে খা’রাপ কাজে ব্যর্থ হওয়ার পর বা’লিশ দিয়ে মু’খ চে’পে’ ধরে রাখার চে’ষ্টা করলে প্রা’ণ হা’রান অদিতা। এসব ঘটনার সময় যাতে অদিতার চিৎকারের শব্দ বের না হয় সেজন্য রনি টিভি ফুল ভলিউমে, পানির ট্যাব এবং ফ্যান চালু রাখে।
এসপি আরও জানান, এ ঘটনাকে ডাকাতি প্রমাণ করতে করার জন্য ঘরের আলমেরিসহ বিভিন্নস্থানে থাকা জিনিস-পত্র এলোমেলো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাইরে দিয়ে তালা দিয়ে চলে যায় রনি। তারপরও এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মায়ের করা মামলায় আব্দুর রহিম রনিকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে নি’হ’ত ওই ছাত্রীর মা এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির মুখো’মুখি করার দাবি জানিয়ে বলেন, অদিতার সঙ্গে যারা এ’মনটা করেছে, তাদের সবার ফাঁ’সি চান তিনি। একই সঙ্গে তাদের পরিবারের জীবনের নিরাপত্তাও চেয়েছেন তিনি।