সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আকাশ পথেও ঘটে থাকে নানা দুর্ঘটনা। কখনো যান্ত্রিক ত্রুটি, আবারও কখনো প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে হয় বিমানকে। আর ফলেই অনেক সময় ঘটে থাকে নানা দুর্ঘটনা। তবে দায়িত্ব অবহেলার কারনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, তা আসলেই মেনে নেয়া যায় না। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবার কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিমান ও গরুর সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার আগে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চার আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ওই বিমানবন্দরের রানওয়েতে চলে যাওয়া ওই গরু দুটির মালিককেও খোঁজা হচ্ছে। তবে কেউ এখনও গরুগুলোর মালিকানার দাবি নিয়ে আসেনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নং বিজি ৪৩৪) বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের সময় বিমানটির ডানপাশের পাখার সঙ্গে দুটি গরুর ধাক্কা লাগে। গরু দুটি মারা গেলেও বিমানটি নিরাপদেই যাত্রীদের নিয়ে ঢাকায় আসে।
বিরল এই ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চাইলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মুর্তুজা বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার আনসার সদস্যকে বিমানবন্দর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।”
গরু দুটির মালিককে বুধবার বিকেল অবধি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ জানতে চাইলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহেল কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘বলার মতো কোনো তথ্য’ এখনও তার হাতে নেই।
গরুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজটির কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বুধবার সকালে বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ সম্পন্ন হয়নি।
মঙ্গলবার কক্সবাজার বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (এসপি) মো. নাইমুল হক বলেছিলেন, উড়োজাহাজটির ধাক্কায় রানওয়েতেই গরু দুটির মৃত্যু হয়।
তবে সৌভাগ্যবসত এ ঘটনায় বিমানে অবস্থানরত যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। একটু এদিক-ওদিক হলেই বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। তবে যাই হোক, এ ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে এমনই প্রত্যাশা সবার।