সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা এখন প্রকৃতির খেলার শিকার। অনেকে না খেয়ে জীবন যাপন করছে। হয়েছেন ঘরছাড়া। দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের জন্য ত্রান সমূর্ঘী আসছে। তবে তাতে ও তাদের আহারের অপূর্নতা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তবে এবার তাদের দূরাবস্থা দেখতে বাংলাদেশ প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেরিয়ে পড়েছেন ঘর থেকে।
বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় তিন জেলা পরিদর্শনে হেলিকপ্টারযোগে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সিলেটে নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিন। পরে বেলা ১টায় ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে সিলেটে এত বন্যা
শুক্রবার সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যার চরম মাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের প্রায় ৬০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশের বেশি এলাকা তলিয়ে গেছে।
নিজেস্ব মাতামত:- বাজারে একটা কথা চাউর হয়েছে, নৌকার মাঝিরা কেউ নৌকা দিতে চাইছেন না, বেশি ভাড়া চাইছেন। তবে উল্টো খবরও আছে। ত্রাণ তৎপরতার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যদি নৌকা নিতে চায়, কত দিনের জন্য নিচ্ছে, কী শর্তে নেওয়া হচ্ছে, তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। জোর করে তথাকথিত রিকুইজিশনের জালে ফেলে নৌকা না নিয়ে একটি চুক্তির মাধ্যমে তা নেওয়া প্রয়োজন। এটি দুর্যোগ প্রস্তুতির একটা অংশ হওয়া উচিত। স্বচ্ছতার সঙ্গে নৌকা নেওয়া ও ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। যোগাযোগব্যবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ত্রাণসামগ্রী মিলছে আরও মিলবে। কাজেই ঢাকা থেকে ত্রাণসামগ্রী না পাঠিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সিলেট বা আশপাশের বাজার থেকে এগুলো ক্রয় করে বিতরণ করা উচিত। এতে স্থানীয় বাজার চাঙা হবে এবং অর্থনীতিতে চঞ্চলতা ফিরে আসবে।