টানা ২৮ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। লিভার সিরোসিসের জটিলতায় তার শরীরে অন্যান্য রোগ বেড়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত মাসের ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাকে দেখতে হাসপাতালে যান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবারও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। ফলে রাতেই তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠক করেন। ডাক্তাররা কিছু ওষুধের পরিবর্তন করেন। একই সঙ্গে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। বরং তার লিভারের জটিলতা অন্যান্য কাজকে প্রভাবিত করছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, আমি রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে এসেছি। ম্যাডামের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা আছেন হাসপাতালে।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যে কেবিনে চিকিৎসা চলছে সেখানে সিসিইউর সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
এর আগে গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হয় এবং তার হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া যায়। তাদের একজনের গায়ে আংটি পরানো হয়। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন- খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাত, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তপাতের পাশাপাশি তিনি লিভারের সিরোসিসেও ভুগছিলেন।
গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। এ সময় হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর তাকে বাড়িতে আনা হয়।