Tuesday , December 24 2024
Breaking News
Home / International / রাত হলেই শুরু হয় স্বামীর এই ‘বদভ্যাস’, শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী

রাত হলেই শুরু হয় স্বামীর এই ‘বদভ্যাস’, শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী

সময় স্ত্রীর সম্পর্ক পৃথিবীতে সব থেকে মধুর সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে অনেক কিছু। বিশেষ করে স্বামী মানেই স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব পালন করতেই হবে বিষয়টি এমন। কিন্তু সেই স্বামীরই যদি গড়ে ওঠে একটি হাস্যকর বড় বদভ্যাস তবে সেটা সত্যি বিরক্তিকর। এমনটি হয়েছে এবার। স্বামীর ‘বদভ্যাসে’ বিরক্ত স্ত্রী। শেষটা ডিভোর্স চেয়েছিল। আদালত মহিলাকে তালাক দেওয়ার অনুমতিও দিয়েছে। তার স্বামীর ‘বদভ্যাসটি’ অনেক চমকপ্রদ। রাত হলেই মাছ ধরতে যান তিনি।

সম্প্রতি এক চীনা নারী তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেছেন। মহিলার দাবি, তাকে প্রতিদিন ভোরে উঠতে হয়। কাজ শুরু হয় দুই শিশুর জন্য টিফিন তৈরি, তারপর তাদের স্কুলে পাঠানো। তারপর ঘরের সব কাজ শেষ করতে হবে। সারাদিন পরিশ্রম করতে হয় তাকে।

মহিলার দাবি, তার স্বামী তাকে সাহায্য করেন না। এমনকি মহিলার যখন অনেক কাজ থাকে তখন তার স্বামী সোফায় ঘুমায়। মহিলার আরও দাবি, তাঁর স্বামী রাতে বাড়িতে থাকেন না। মাছ ধরার নেশা তার। সারা রাত সেখানে কাটিয়ে দিনের বেলা ঘরে ঘুমান। এমনকি তার স্বামীও কাজে যেতে নারাজ।

আদালতে এসব কথা বলার পর বিচারক ওই নারীকে তালাক দেওয়ার অনুমতি দেন। পাশাপাশি স্বামীকে কড়া ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিচারক বলেন, মাছ ধরার নেশা খুব একটা খারাপ নয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনি আপনার পরিবারকে সময় না দিয়ে সারা রাত মাছ ধরবেন।

জানা গেছে, ১০ বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। তার দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তাই শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জানা গেছে ওই নারী ১০ বছর আগে তার বর্তমান স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হন। তাদের ঘরে রয়েছে দুটি সন্তান। কিন্তু বর্তমানে তার স্বামীর সাথে তার নেই কোনো সম্পর্ক।স্বামীর সঙ্গে কোনোভাবেই বনিবনা হচ্ছে না তার। তাই শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করেছেন তিনি।

About Rasel Khalifa

Check Also

‘গণহারে’ বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের ভিসা, জানা গেল কারণ

উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা আবেদন আশঙ্কাজনক হারে বাতিল করছে। দেশটির নতুন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *