ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির এখনো সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাপার একাধিক শীর্ষ নেতা। রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও কোন আসনে নৌকা প্রত্যাহার হবে কি না তা নিশ্চিত নন দলটির নেতারা। এদিকে আসন সমঝোতা নিয়ে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার বৈঠকের কথা থাকলেও তা হয়নি। সার্বিক বিষয়ে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের গুলশানের বাসায় বৈঠক করেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তফা আল মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেলসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সমঝোতার শুরুতে আসন ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে তাদের কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ। বৈঠকে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেন জাপা মহাসচিব। জাতীয় পার্টির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান চুন্নু। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে নির্বাচন প্রত্যাহারের চিঠি টাইপ করেছে। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত আসন সংখ্যা নিয়ে আওয়ামী লীগ স্পষ্ট না হওয়ায় আজ রোববার সকালে প্রথমে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা ডাকার কথা রয়েছে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হবে।
জাপার একজন সংসদ সদস্য বলেন, সরকার নির্দিষ্ট আসনে নৌকা নিষ্ক্রিয় করার কথা বলছে। এগুলো পাগলের প্রলাপ। প্রশাসন কোনো অবস্থাতেই নৌকা বাদ দিয়ে লাঙ্গলকে সমর্থন করবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগে আমাদের সঙ্গে আসন নিয়ে কথা বলেনি। শেষ মুহুর্তে এসে আমাদের কষ্ট দূর করুন। সে জন্য রাতে সব সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বসেন। এদিকে জাপা বনানী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জাপা নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ চলাকালে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নু কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।