একের পর এক সংসার ভাঙ্গনের পর অনেক আশা নিয়েই অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন ঢাকাই সিনেমার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত বছর ২ না ঘুরতেই রাজের সঙ্গেও সম্পর্কের ইতি টানলেন পরীমনি। গত শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে পরীমণি নিজেই এই ঝড়ের আভাস দেন।
এদিন দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে পরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
ওই পোস্টের পর পরী জানান, ছেলে রাজ্যকে নিয়ে রাজের বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি। রাজকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
শনিবার দিনভর পরীর স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাতে বরফের মতো গলে যায় দুজনেই। তারা তাদের মান অভিমান ভুলে আবার এক হয়ে যায়। রাতে রাজের বসুন্ধরার বাসায় আছেন বলেও জানান পরীমণি। এ খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন দুই তারকার ভক্তরা।
তবে তাদের বোঝাপড়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আবার রাজা আর পরীর মধ্যে ঝগড়া হয়। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ফেসবুকে এক পোস্টে এমনটাই জানান পরীমনি।
পোস্টে দুটি ছবি প্রকাশ করেছেন পরী। যেখানে তার বিছানা ও বালিশে রক্তের দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিস্তারিত ঘটনায় না গিয়ে পোস্টে পরীমণি লিখেছেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। প্রেস কনফারেন্স টুমরো…লোডিং’। অর্থাৎ, আজ দিনের কোনো একটা সময় নিজেদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরবেন পরী। সেখানেই জানা যাবে শরিফুল রাজের সঙ্গে কী সমস্যা হয়েছে তার। দুজনের সম্পর্কের ভবিষ্যৎই বা কী!
গত বছরের ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর অনেক লুকিয়েই শরিফুল রাজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে অবোধ্য হন পরীমনি। বর্তমানে এক পুত্র সন্তানের অভিভাবক তারা।