রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে এক নারী কনস্টেবলকে মারধর ও ৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এছাড়াও একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি মো. মোস্তাজিজুর রহমান। গ্রেফতারকৃত ছাত্রের নাম আজহা ইসলাম, তাকে ভিকটিমের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ছাত্র মুর্তজা হাসান খান (ফাহিম), ইতিহাস বিভাগের ছাত্র তৌফিফ আজিম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের ছাত্র মনোয়ার হোসেন সোহাগ, শিক্ষা বিভাগের ছাত্র রিয়াদ হোসেন ও শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. উর্দু বিভাগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিপ্লব। অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
শাহবাগ থানা ও ঢাবি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের বিবরণে জানা গেছে, শনিবার রাতে গোপালগঞ্জের একটি থানায় কর্মরত নারী কনস্টেবল জেসমিন ও তার ভাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। পেশাগত পরিচয় উপস্থাপন করা সত্ত্বেও আজহা ও তার কিছু সহযোগী জেসমিন ও তার ভাইকে হয়রানি করে। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশ কনস্টেবলের গায়ে হাত তুলে তাদের কাছে থাকা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ সময় ওই নারী কনস্টেবল আজহাকে ধরে ফেললেও আজহার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবল আজহাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেন এবং তিনি নিজেই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারকৃত আজহারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলায় বাকি ৫ জনের নামও যুক্ত হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এখন বিষয়টি ডিবি তদন্ত করবে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, ঘটনায় নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। এছাড়াও ঢাবির অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাদের খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।