গত রোববার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিয়ে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক এক না’রীকে অ’নৈ’তিক কাজে ‘লি’প্ত’ করার চেষ্টার অভিযোগে মিজানুর রহমান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাসপাড়ায় আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটে। এতে গোটা এলাকার মানুষের মাঝেও বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে ওই রাতেই কালীগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ‘মা’ম’লা করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আসামি মিজানুর রহমান উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে ও ১নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, এর আগেও সে আলাইপুর গ্রামের আলুকদিয়াপাড়ার মিজানুর দাসপাড়ায় এসে সং’খ্যা’লঘু পরিবারগুলোর ওপর ‘নি’র্যা”ত’ন চালায়। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই গ্রামের অমরেশ দাসের বাড়িতে যান মিজানুর। এ সময় অমরেশ তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।
হঠাৎ মিজানু ঘরে ঢুকে স্ত্রীর শরীর থেকে লেপ সরিয়ে ফেলে। এ সময় আমরেশ মিজানুর রহমানকে ধরে ফেলে। এ সময় মিজানুর তাকে ‘মা’র’ধ’র শুরু করে। অমরেশের চি’ৎকা’রে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ‘ন”গ্ন’ অব’স্থা’য় ধ’রে ফেলে। এ সময় তাকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁ’ধে রাখা হয়। পরে পু’লিশ’কে খবর দিলে মিজানুর রহমানকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
‘নি’র্যা’তি’তা’ জানান, তিনি ও তার স্বামী তাদের সন্তানদের নিয়ে একটি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ মিজানুর রহমান তার গায়ের লেপ খুলে ফেলেন। এ সময় স্বামীকে হাত ধরে ডাকেন তিনি। এ সময় মিজানুর ‘ন”গ্ন’ ছিলেন। মিজানুর জোর করে তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে চেয়েছিল। এ সময় মিজানুর সবাইকে চুপ থাকতে বলেন। কথা বললে ‘মে”রে’ ফে’লা’র হু’ম’কি দেয়। পরে তার স্বামী মিজানুর রহমানকে ধরে ফেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী অমরেশ দাস বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এর আগেও মিজানুর তাদের ওপর নি”র্যা”ত’ন’ করেছে। মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূ’লক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে মা’মলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।