মন খারাপ করে খারাপ করে সামাজিক মাধ্যমের লাইভে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। প্রায় দুই মিনিট নিশ্চুপ ছিলেন লাইভে এসে। মুখে হাসি নেই, সাজসজ্জা নেই। দুশ্চিনার ছাপ তার চোখে মুখে। কিছুক্ষণ পর মুখ খুললেন জনপ্রিয় এই নায়িকা, জানালেন তার লাইভে আসার বিষয়বস্তু কি। তিনি জানান, রাতে ঘুমাতে পারেননি এমনটাই জানিয়েছিলেন। সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশাপাশি অসংখ্য পশুপাখি। ভক্তদের রক্ষার আকুতি নিয়ে একথা বললেন মাহি। এই দুঃসময়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায় তার পরামর্শও চান তিনি।
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার চরম মাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সিলেটে ভয়াবহ বন্যা নিয়ে খুশি নন ঢাকাই সিনেমার বর্তমান নায়িকা মাহিয়া মাহি। বানভাসি মানুষের পাশাপাশি সেখানকার পশুদের কথা ভেবে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছেন না নায়িকা। মাহিয়া মাহি তার ফেস// বুক লাইভে বলেন, মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাঁচার চেষ্টা করবে। কিন্তু প্রাণীরা কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবে তা নিয়ে টেনশনে আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। আমার যদি সামর্থ্য থাকত, সাধ্য থাকলে কুকুর থেকে গরু-ছাগল সবই নিয়ে আসতাম। আমি তাদের নিরাপদ জায়গায় রাখতে চাই। কারণ, প্রাণীদের প্রতি আমার প্রবল ভালোবাসা আছে।
সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার। ইতোমধ্যে তারা একটি দল গঠন করেছে। রোববার (১৯ জুন) রাত ৮টার পর ফেস// বুক লাইভে এসে বিষয়টি জানান নায়িকা। মাহি বলেন, সিলেটে বন্যার মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে আমাদের সবারই নিজ নিজ জায়গা থেকে কিছু করা উচিত। আমরা সবাই সিলেটকে খুব পছন্দ করি। অনেকেই জীবনে বহুবার সিলেটে এসেছেন। সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছি। সিলেটের এই দুঃসময়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অপরদিকে রাকিব বলেন, এই সময়ে সিলেটের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। সিলেটের কোন এলাকায় মানুষ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, এই মুহূর্তে কাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত এবং কী ধরনের সহযোগিতায় আমরা বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
উল্লেখ্য, বন্যায় অনেক পশুর প্রাণ যাচ্ছে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর জানতে পারেন অভিনেত্রী মাহি। দুর্যোগ কবলিত এলাকার গবাদিপশু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মাহি। মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাঁচার চেষ্টা করবে, তিনি বলেন। কিন্তু অন্যের সাহায্য ছাড়া কীভাবে প্রাণীদের বাঁচানো যায়। এই টেনশনে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। আমার সামর্থ্য থাকলে গরু, ছাগল, কুকুর ও অন্যান্য প্রাণী নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতাম। আমি যদি তাদের একটি সংরক্ষণ জোন দিতে পারতাম, তাহলে আমি শান্তি অনুভব করতাম এমনটাই জানান এই অভিনেত্রী।