কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এক কলেজছাত্রীকে \\যৌ\\ন নি\র্যা\\ত\নের\ অভিযোগ উঠেছে দ্বিপক চন্দ্র দাস নামে উক্ত হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ওই ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বড় ভাই।
এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আবার মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা তাকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় দ্বীপক চন্দ্র দাসকে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার সময় যেসব চিকিৎসক ও নার্স আইসিইউতে ছিলেন তাদেরও শোকজ জানানো হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত দ্বীপকের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
৭ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে কলেজছাত্রীর বড় ভাই বলেন, ‘আজ আমি আপনাদের সাথে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ ঘটনা শেয়ার করব। রাতের শেষ দিকে (শুক্রবার) আমার বোন কাঁদতে শুরু করলে আমরা ভেতর থেকে তার সাথে দেখা করতে যাই। তারপর তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমাদের জানান যে দ্বীপক নামে একজন ওয়ার্ড বয় তার শরীরে বেশ কয়েকবার স্পর্শ করেছে। আমি সত্যিই এটা বর্ণনা করতে পারবো না. এরপর ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। পুরো দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তারা এমন আচরণ করছে যেন এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। এই দ্বিপক ২০১৩ সাল থেকে কাজ করছেন। দ্বীপক শুরু থেকে আইসিইউতে থাকলে নিয়মিত এসব কাজ করে আসছেন। আমার মূল উদ্দেশ্য এই ভিডিওর মাধ্যমে সতর্ক করা।
যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগীর বড় ভাই বলেন, “শুক্রবার আমার বোন অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের (টাওয়ার হাসপাতাল) জরুরি ইউনিটে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেন। তারপর আমরা তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাই। বিকেল থেকে পরের শনিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। রাতের শেষের দিকে, কর্মকর্তারা তার কান্নার কথা আমাদের জানান এবং আমাদের ভিতরে যেতে দেন। ভিতরে গেলে সে আমাদের জানান, তার শেষ রাতে আইসিইউ-তে এক ব্যক্তি তার শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করে। তার নাম দ্বীপক। সে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। সেজন্য সেখানে আমার অসুস্থ বোনটি জন্য কাঁদছিলেন। আজ (রোববার) তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা টাওয়ার হাসপাতালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং তারা একটি তদন্ত কমিটিও করছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক (টাওয়ার হাসপাতাল) নুরুদ্দিন মজুমদারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারছি না। কথা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনার পর ওয়ার্ড বয়কে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই সময় যারা আইসিইউতে দায়িত্বে ছিলেন তাদের সবাইকে শোকজ করা হয়েছে।
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি, তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।