গৌরনদী ও উজিরপুর থানার ১৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অবহেলার জন্য তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।
তবে বরিশাল জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। এমনকি গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আল বেরুনীও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।
রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় থেকে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বরখাস্তকৃত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন গৌরনদী মডেল থানার। তারা হলেন- গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. এ.গাফফার হোসেন, এসআই ছগির মিয়া, এএসআই সোহরাব হোসেন, কনস্টেবল মো. ইকবাল, মোঃ কামাল, মুরশালিন, নয়ন, অমৃত, মেহেদী এবং চালক (কনস্টেবল) এ হক রানা।
অপরদিকে, বাকি ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে- উজিরপুর মডেল থানার এসআই মো. জিয়াউল হায়দার, কনস্টেবল রবিউল ইসলাম, মোঃ সোহেল রানা ও ইমরান হোসেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকাল ৩.২০ মিনিটে বিভাগীয় সদর দফতরের একটি গ্যারেজ থেকে ইয়ামাহা এফজেড সংস্করণ-২ মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরে বিভাগীয় সদর দপ্তর কম্পাউন্ডসহ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অজ্ঞাত চোর খালি পায়ে চাবি ছাড়া মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেছে। চোর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথমে বরিশাল জেলার উজিরপুর ও গৌরনদী থানার প্রবেশমুখে দিয়ে চেকপোস্ট ভাঙ্গে ফরিদপুরের থানায় যায়।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জানা যায়, গৌরনদী ও উজিরপুর থানার সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা ওই রাতে মোবাইলে ডিউটি থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। আর তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে চোরসহ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হতো। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আখতারুজ্জামান জানান, চোরেরা কোনো বাধা ছাড়াই সব জায়গা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ওই পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দোষ পর্যাচলনা করে তাদের আবারো চাকরিতে জয়েন করতে বলা হতে পরে। তবে শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।