ববি হাজ্জাজ হলেন বাংলাদেশের একজন তরুণ রাজনীতিবীদ। রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বপ্নের দেশ গড়ার লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ববি হাজ্জাজ দেশের বর্তমান বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করে থাকেন। তিনি বিদেশে তার পড়াশোনা সম্পূর্ন করেন। সম্প্রতি ববি হাজ্জাজ তার এক বক্তব্যে বলেছেন রাতের আঁধারে নির্বাচনে আনার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ক্ষমতাসীন দলকে রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করতে লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এনডিএমের দ্বিতীয় যুব সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
ববি হাজ্জাজ বলেন, “সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিএনপির অনেক নেতার সঙ্গে গোপন সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। একদিকে দলটির সমাবেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে, অন্যদিকে লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। রাতের বেলায় তাদের নির্বাচনে আনুন, এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা হিংসার রাজনীতি, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। রাজনৈতিক অপরিপক্কতা দেখিয়েছে দলটি। গত নির্বাচনে জাতীয় কিছু গুন্ডাদের সাথে ঐক্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের জন্য দায়ী। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ সরকার আজ আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত। সেজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিবিসির সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার এবং গুম-খুন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যা দেশের জন্য কলঙ্কজনক।
ববি হাজ্জাজ বলেন, এনডিএম দ্বিতীয়বারের মতো যুব সম্মেলন করতে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে গতি সঞ্চার হয়েছে, তা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বেগবান হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করা এবং একই সঙ্গে ন্যূনতম পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনী মাঠ থেকে ভোট কারচুপি ও অত্যাচারী সরকারের অপচেষ্টা ঠেকানোই আমাদের লক্ষ্য।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আর বেশি দেরি নাই। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুটি ইতিমধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলেগুলো গ্রগণ করছে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে। নেতাকর্মীরা সভা ও সমাবেশের মাধ্যমে সবাইকে একত্র হয়ে সফলতার লক্ষ নিয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ আশা করছেন প্রত্যেকবারের মত এবারো দেশে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।