ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের যুবক রাসেল (২২) নিহত হয়েছেন। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছিলেন এগারসিন্দুর। গার্মেন্টসে চাকরি এবং বাবার গরু বিক্রির আশা নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন।
বিমানবন্দরে ছেলে রাসেলকে বিদায় জানাতে ট্রেনে ঢাকা আসছিলেন মা হাসনা বেগম। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে মারা গেলেও আল্লাহর রহমতে বেঁচে যান মা হাসনা। বেঁচে গেলেও ছেলের মৃত্যুতে তিনি বিধ্বস্ত। আর ছেলের লাশের পাশে বসে বলছেন, আজ রাতে আমার ছেলের বিমানে সৌদি যাওয়ার কথা ছিল।
নিহত রাসেল (২২) মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে। রাসেলের মামা। জাকারিয়া ভূঁইয়া জানান, হাবিবুর রহমান হাবিবের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে রাসেল সবার বড়। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর জীবিকার সন্ধানে রাজধানীতে পাড়ি জমান। 2018 সালে, রাসেল রামপুরার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। গ্রামের শেষ সম্বল, গার্মেন্টসে চাকরি ও একটি গরু বিক্রি করে সৌদি যাওয়ার জন্য টাকার ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে স্বজনদের বিদায় জানাতে গ্রামে আসেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় সৌদি আরবের ফ্লাইটে তার যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তিনি এগারসিন্দুর ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ভৈরবের জগন্নাথপুর এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাসেল। রাসেলের বাবা গরিব মানুষ। ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল তার দীর্ঘদিনের। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনায় তার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।