সম্প্রতি দেশের অথনৈতিক অবস্থা সংকটের মুখে পড়ায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পরিচালনায়। জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন আমদানি পন্যের দাম বৃদ্ধিতে সেগুলো ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক জটিলতায় পড়ে সরকার। যার কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে এবং লোডশেডিং শুরু হয়। এসব সমস্যার থেকে উত্তরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন সরকার। তার পদক্ষেপে হিসেবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস আদালতে সময় সীমা নির্বারন করে দেওয়া হয়। এতে ফার্মেসি রাত ১২ টার বন্ধ করা নিয়ে নতুন সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ভাগ্যিস ২০১২ সালে তিনি মেয়র ছিলেন না মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিন মেয়র তাপসকে যা বললেন বিএনপি সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
একটা রাষ্ট্রে উদার গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থাকলে সেটি পুরো রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে, সমাজকে এবং ব্যক্তিকে গণতান্ত্রিক করে তোলে। স্বাভাবিকভাবেই ঠিক উল্টোটা ঘটে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা ক্ষমতাসীন দল/গোষ্ঠীর প্রতিটি মানুষকেও স্বৈরতান্ত্রিক করে তোলে। তাই এমন ব্যবস্থার অধীনে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানও তার নিজেকে একজন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে দেখতে চান। আর সব স্বৈরাচারী মানুষ হয়ে থাকেন ইগোসেন্ট্রিক। নিজে যা বলেছেন, করেছেন, সেটা ভুল হয়েছে বুঝতে পারলেও তাদের পক্ষে সেটা স্বীকার করা সম্ভব হয় না, সংশোধন তো পরের কথা
বছরটা ২০১২। যতদিন বেঁচে থাকব ২০১২ সালের দিনগুলো মনে থাকবে। সে বছর আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল আমাকে। কয়েক দফায় বিভিন্ন মেয়াদে হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
শেষ দফায় অক্টোবর মাসের ৪ বা ৫ তারিখ শেষবারের মতো ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রাত পৌনে একটার দিকে হঠাৎ শরীর খারাপ হলে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে রাত দুইটার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আমি অ্যাম্বুলেন্সে আমার বাবার সাথে ছিলাম এবং যে ছেলেটি আমার বাবার দেখাশোনা করত।
হাসপাতালে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাবাকে আইসিইউতে ভর্তি করে ফেলা হয়। যেহেতু ২০০৩ সালে পড়ে গিয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী হবার পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই বাবার সব চিকিৎসা হয়েছে, তাই সে হাসপাতালে ডাক্তার নার্স থেকে শুরু করে এম্বুলেন্স চালক, ওয়ার্ড বয় পর্যন্ত সবাই বাবার একমাত্র এটেন্ডেন্ট হিসাবে আমাকেই চিনতো, আমার সঙ্গে ভালোই সখ্য ছিল।
বাবাকে হাসপাতালে নিচ্ছি জেনে ওনার ডাক্তার আগেই আইসিইউতে বলে রাখায় দ্রুতই ভর্তি করতে পারি আমি। ভর্তির যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে না হতেই প্রায় তিন পৃষ্ঠার একটি লম্বা তালিকা আমার হাতে দেওয়া হলো। সেই তালিকায় ওষুধ থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ছেলেটাকে বাবার কাছে রেখে রাত তিনটার দিকে ওষুধ কিনতে গেলাম। একা আমি। আল্লাহ্কে অশেষ শুকরিয়া। নিচেই একটা ফার্মেসি ছিল বলে আমাকে এতরাতে রাস্তায় নামতে হয়নি। না হলে কী হতো আমি জানি না।
আমি এতটুকু বলেছি কারণ সম্প্রতি আমার নজরে এসেছে যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন একটি অদ্ভুত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়, ১লা সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে সাধারণ ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে। আর ‘হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান’ রাত দুইটায় বন্ধ করতে হবে। বলাই বাহুল্য, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সাংবাদিকদের এমন সমালোচনার মুখে পড়েন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি ডিএসসিসির নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যাবে। কিন্তু মন্ত্রীর বক্তব্যের পরও ডিএসসিসি প্রজ্ঞাপন সংশোধন করেনি। সংস্থাটির সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্ত্রীর বক্তব্যের পরও তারা নিজেদের অবস্থানে অটল। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে তাদের নির্দেশনা মেনেই ফার্মেসি বন্ধ হতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন তারা।
এরপর ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ‘বোমা ফাটান’। ৩০শে আগস্ট বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ডিএসসিসির দ্বিতীয় পরিষদের ষোড়শ করপোরেশন সভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সংযুক্ত ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। কারণ যেখানে রবি থেকে বৃহস্পতিবার সুনির্দিষ্ট সময়ের পর, শুক্র-শনিবার এবং রাতে চিকিৎসকই পাওয়া যায় না সেখানে ওষুধের দোকান কেন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে? আগেতো চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে। তারপরতো চিকিৎসাসেবার জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে’। তার এই বক্তব্যে যাবার আগে তার বিষয়ে আমার ছোট একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।
মেয়র তাপস ২০০৯ সাল থেকে মেয়র হওয়া পর্যন্ত ধানমন্ডি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা হিসাবে, আমি বারবার তার কাছে আমার গলিতে অবৈধ নির্মাণ এবং আমার বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের মালবাহী পিকআপ (যা পুরো লেনটি অবরুদ্ধ করে) সম্পর্কে অভিযোগ করেছি। তিনি প্রতিবারই বলেন, এটি সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এবং মেয়রের আওতাভুক্ত। যে কারণে তার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। তিনি যখন মেয়র নির্বাচনে দাঁড়ান (!), তখন তিনি আমার সাথে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির টকশো ‘আজকের বাংলাদেশ’-এ উপস্থিত হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার প্রশ্নের উত্তর দেন এবং জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে এসব অবৈধ স্থাপনা (দোকান) উচ্ছেদ করবেন এবং আমার বাড়ির গলি বন্ধ করে রাখা মার্কেটের মালবাহী পিকআপ ঢোকা বন্ধ করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি নিজেই জাতিকে জানান যে তিনি আমার এলাকার এমপি থাকা অবস্থায় আমি এ বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ কামনা করি।
মিঃ তাপস প্রায় আড়াই বছর মেয়র হয়েছেন। নগরপিতার সঙ্গে দেখা করার, বা তাঁর কাছে সরাসরি কথা বলার মতো বড় সৌভাগ্য নিয়ে আমার মতো মানুষ এদেশে জন্মায়নি। অবশেষে তার পিএসই ভরসা। তার কাছে বারবার অভিযোগ করে সরজমিন ছবি পাঠালেও আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। বহাল তবিয়তে যেমনি চলছে অবৈধ স্থাপনার দোকান (যেগুলো অবৈধ হবার কারণে এক এগারো সরকার ভেঙে দিয়েছিল) তেমনি আছে আমার বাড়ির মূল গেটে বাধা তৈরি করে পুরো গলি জুড়ে পার্কিং করা মার্কেটের মালবাহী পিকআপগুলোও। তাপস সাহেব এমপি থাকাকালীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বাধা হিসাবে যেভাবে সাবেক মেয়র সাইদ খোকনকে দেখিয়েছিলেন, সম্ভবত সেই কারণ, সেই বাধা আজও দূর হয়নি।
তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ফিরে যাওয়া যাক। তিনি বলেন, রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার, শুক্র-শনিবার ও রাতে নির্দিষ্ট সময় পর চিকিৎসক পাওয়া যায় না। তাপস সাহেব ‘রাজ পরিবার’ এর সন্তান, এদেশে চিকিৎসা নেবার সুযোগ হয়তো তার হয়নি। তাই তিনি জানেন না যে প্রতিটি হাসপাতালে (সরকারি বা প্রাইভেট) ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার থাকে। আমি বলছি না যে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করেন কিন্তু অন্যদিকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার সব হাসপাতালে নিয়মিত। রাতে ডাক্তার না পাওয়া গেলে ঢাকা শহরে রাতে কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা করবে কে? রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা কে দেয়? শুধু এই নগর হাসপাতালের জরুরি কক্ষেই নয়, প্রতিটি ওয়ার্ডেই রাতে ডিউটি করেন কয়েকজন চিকিৎসক। আইসিইউতে থাকেন চিকিৎসকরা। রাতভর অপারেশন থিয়েটারে রোগীদের জরুরি অপারেশন করেন চিকিৎসকরা।সারারাত গর্ভবতী মায়েদের ডেলিভারি করানো হয়।
এসব তথ্য জানার জন্য মেয়র হওয়া জরুরি নয়, এদেশে বসবাসকারী নূন্যতম জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি হওয়াই যথেষ্ট। তাই কিসের ভিত্তিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন আমি জানি না। কিন্তু তার বক্তব্যের পর আমাদের চিকিৎসক সমাজের প্রতিক্রিয়া দেখে আমি বিস্মিত। আমি যতদূর জানি বাংলাদেশে ডাক্তারদের অনেক সংগঠন আছে। অন্তত কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কোনো প্রতিবাদ দেখিনি। দেখলাম কয়েকজন চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ করলেও সাংগঠনিক কোনো বক্তব্য চিকিৎসকদের নজরে আসেনি।
আচ্ছা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কয়টি হাসপাতাল আছে? এসব হাসপাতালের ফার্মেসির সংখ্যা কত? এই ফার্মেসিগুলো কত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে? এই ফার্মেসিগুলো কতোটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে? রাত ২টার পর বিদ্যুতের সর্বনিম্ন চাহিদার সময়ে ফার্মেসিগুলো বন্ধ রেখে মেয়র কী অর্জন করতে চাইছেন? শুধু হাসপাতালের সঙ্গে থাকা ফার্মেসিই বা কেন? মানুষের অসুস্থতা তো বলে কয়ে আসে না। আর সব অসুস্থতায় হাসপাতালে যাবারো প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মানুষ জানে কিছু ওষুধের দোকান সারা রাত খোলা থাকে, হঠাৎ অসুস্থ হলে মানুষ সেখানে ওষুধ নিতে যায়। বাড়িতে বয়স্ক অসুস্থ মানুষ নিয়ে আমার মতো অনেকেই থাকেন। আমাদের মতো মানুষদের জন্য একটা বড় ভরসার জায়গা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা এই ফার্মেসিগুলো।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অজুহাতে এই ফার্মেসিগুলো বন্ধ রাখার কথা বলছেন মেয়র। আমার প্রশ্ন হলো দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা খারাপ হলে অল্প কিছু ফার্মেসির দুইটা বাতি আর একটা ফ্যান বন্ধ করার পেছনে আদাজল খেয়ে লাগতে হয় সরকারকে, যেখানে মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন সরাসরি জড়িত? স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ, থিংকট্যাংকসহ সকল বিরোধী দল যে দাবি করে আসছে দেশ শ্রীলঙ্কার পথে রওনা দিয়েছে মেয়রের এই সিদ্ধান্ততো সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
একটি রাষ্ট্রে একটি উদার গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সমগ্র রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সমাজ এবং ব্যক্তিকে গণতান্ত্রিক করে তোলে। স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই এর উল্টোটা ঘটে। কর্তৃত্ববাদী শাসন ক্ষমতাসীন দল/গোষ্ঠীর প্রতিটি ব্যক্তিকে একনায়ক করে তোলে। তাই এ ধরনের ব্যবস্থার অধীনে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানও নিজেকে একজন সর্বশক্তিমান ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চান। আর সব স্বৈরশাসকই অহংকেন্দ্রিক। যদিও তারা বুঝতে পারে যে তারা যা বলেছে এবং যা করেছে তা ভুল, তাদের পক্ষে তা স্বীকার করা সম্ভব নয়, সংশোধন পরের বিষয়। স্বৈরাচার শক্তির উপর নির্ভর করে। ভিন্নমতের প্রতি বিবেচনা প্রদর্শন স্বৈরশাসককে দুর্বল করে দেয়। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদ শিকড় গেড়েছে, তা শুধু ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা মানুষকেই নয়, চারপাশের সবাই নিজেদের ঈশ্বর ভাবতে শুরু করেছে। ঈশ্বর যে কোন সময় যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এবং ঈশ্বর কখনও ভুল করেন না।
শুধু তাই নয় ২০১২ সালে একদিন বাবার অসুস্থতার কারণে এর আগেও আমাকে কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে। গভীর রাতে ওষুধ কেনার অনেক অভিজ্ঞতা আছে (এমনকি রাত টার পরেও)। ঢাকা দক্ষিণের ফার্মেসিকাণ্ড দেখে আমার বারবারই মনে হচ্ছে ভাগ্যিস সে সময়ে শেখ তাপস মেয়র ছিলেন না! এটা লিখে আবার মনে হলো এখন তো আছেন তিনি। নিজে অসুস্থ হবার কথা আপাতত সরিয়ে রেখে নতুন আতঙ্ক মাথায় ঢুকলো মাকে নিয়ে।
বয়স্ক, অসুস্থ মাকে নিয়ে আমার জীবনযাপন। যেকোনো মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি, নিতে হতে পারে হাসপাতালে কিংবা নিদেনপক্ষে যেকোনো সময় প্রয়োজন পড়তে পারে ইমার্জেন্সি মেডিসিনের। সর্বশেষবার হার্টের সমস্যার জন্য তাকে ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। তবে সেটা ছিল দিনের বেলা। এবার যদি অসুস্থ হন গভীর রাতে? আমার মাকে তো চিকিৎসা নিতে হবে আমার বাবার মতোই, এই দেশে। ওষুধটা অন্তত কিনতে পারবো তো? শেখ তাপসের মতো হাতেগোনা কিছু মানুষ বাদ দিলে এয়ার এম্বুলেন্স আনিয়ে মরণাপন্ন অবস্থায় মাকে থাইল্যান্ড/সিঙ্গাপুর নিয়ে চিকিৎসা করানো আর সব মানুষের মতোই আমার কাছেও দিবাস্বপ্নের চেয়ে বেশি কিছু না।
প্রসঙ্গত, সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন না ভাবেন কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় মন্তব্য করেন বিএনপি সাংসদ রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, দেশের জনগনকে নিয়ে ভাবলে সরকার এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন মেয়র সাহেব।