ভালোবাসার মানুষগুলো অন্যদের থেকে আলাদা। সবার সঙ্গে থেকেও বাস করেন নিজের মানুষটিকে ঘিরে। পৃথিবী যেমন সূর্যকে ঘিরে আবর্তিত হয় তারাও আবর্তিত হয় প্রিয়জনকে ঘিরে। একে অন্যকে নিয়ে যা বাস্তবসম্মত তাও বলেন, যা অবাস্তব সেটিও বলেন। কেউ এক কবরে ঘুমাতে চান আবার কেউবা মৃত্যু পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার সনদ দিয়ে দেন চোখ বুজে।। কিন্তু তাল কেটে গেলেই বদলে যায় বাদ্যের ভাষা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পরীমনি-শরিফুল রাজ ও মাহিয়া মাহিকে। পরীমনি-রাজের প্রেম যখন চরমে, তখন রাজ ঘোষণা দিয়েছিলেন পরী ও তার কবরও একসঙ্গে হবে। কিন্তু কিন্তু কিছুদিন যেতেই খবর আসে ঢং ঢং করে বাজতে শুরু করেছে তাদের বিচ্ছেদের ঘণ্টা। শেষ পর্যন্ত এক ছাঁদের নিচেই থাকা হয়নি তাদের। ভালোবাসার পাখি উড়াল দিতেই দুজন দুই পথে পা বাড়ান তারা।
এদিকে শুক্রবার মাহির ক্ষেত্রেও একই গল্প নতুন করে লেখা হয়েছে। দ্বিতীয় স্বামী গাজীপুরের রাকিব সরকারের ভালবাসায় যখন মাহি ভাসছিলেন তখন নিজের আমৃত্যু সঙ্গীর সনদ দিয়েছিলেন তাকে।
গল্পটি এরকম। একবার নিজের আইডিতে মাহির ছবি প্রকাশ করেছিলেন রাকিব। সঙ্গে লিখেছিলেন ‘আমার একমাত্র বউয়ের আলোকচিত্রী আমি।’ কথাটি বেশ মনে ধরেছিল মাহির। আবেগে আপ্লূত হয়ে নায়িকা দিয়েছিলেন মৌখিক সনদ। স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন প্রিয়তম, তোমার এই একমাত্র বউয়ের একমাত্র ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী মৃত্যু পর্যন্ত তুমিই থাকবে।
কিন্তু বাস্তবে মুখের কথার ভিত্তি নেই। মৌখিক সার্টিফিকেট মূল্যহীন। কারণ মানুষ বদলায়, কারণ ছাড়াই বদলে যায়। বদলে গেছে মাহি ও রাকিবও। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসঙ্গে থাকা তো দূরের কথা, এক বছরের মধ্যেই একে অপরের প্রতি মন হারিয়ে ফেলেছেন এই তারকা দম্পতিরা। দুজনেই একে অপরকে বিদায় দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। দূরত্ব এতটাই বেড়েছে যে সম্পর্কটা শুধু কাগজেই ঝুলে আছে। সেটিও থাকবে না উল্লেখ করে মাহি জানিয়েছেন শিগগিরই সম্পর্কের সুতো একেবারে কেটে দেবেন তারা।
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর, তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন। আড়াই বছর আগে মাহি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।