ঢাকাই চলচ্চিত্রের তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজের সংসার অবশেষে ভেঙে গেল। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পরীমনি তার স্বামী রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে বিষয়টি নিয়ে সারাদিন মুখ বন্ধ রাখেন পরী।
বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই। তিনি জানান, রাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স দিয়েছেন।
বুধবার রাতে নিজের ফেসবুকে পুরনো একটি পোস্টের স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন পরীমনি। দীর্ঘ পোস্টও লিখেছেন।
পরীমনি লিখেছেন, এই স্ট্যাটাস নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে! পাঁচ দিন পর সেবার রাজ বাড়ি ফিরে আমার ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেয়। এরপর তিনি এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন। সরি বলে, না খেয়ে, পা ধরে আমাকে ক্ষমা করে দেও, আ/ত্মহত্যার মতো হু/মকি দিয়েও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে!
এরপর অভিনেত্রী লেখেন, জানি না একই ধরনের ভুল কতবার ক্ষমা করা যায়। আমি শুধু সবকিছু ভুলে যেতে এবং একটি সুন্দর স্বাভাবিক পারিবারিক সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই সম্পর্কেটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার স্ত্রী, আমার সন্তান করে ভ/য়ংকর মানুষ একটা। যিনি এই সম্পর্ককে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন প্রতিনিয়ত!
পরী আরও লেখেন, এমন ভ/য়ংকর মানুষকে বারবার সুযোগ দিয়েছি। সেও একটা সুযোগ পেত কারণ আমি তার থেকে আইনত ডিভোর্স হইনি। আমি বারবার অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছে। আমাকে ক্ষমা ক/রবেন।
পরী লিখেছেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। খুব স্বাভাবিক ভাবে। এটাও তাকে আমার এক ধরনের ক্ষমা দেওয়া। অথবা সে আমার সাথে যে অন্যায় করেছে তার জন্য তাকে জেলে যাওয়ার কথা।
সবশেষে সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ভবিষ্যতে ছেলের ভরণ-পোষণ থেকে লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ আমি বহন করব। আমি এ পর্যন্ত যেমন করেছি। সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব এখন মায়ের কাছে। আমার আইনজীবীরা এ বিষয়ে কিছু যা বলার বলবেন।
১৭অক্টোবর ২০২১ তারিখে পরীমনি এবং রাজ একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসাবে গোপনে বিয়ে করেন। খবরটি ১০ জানুয়ারী ২০২২-এ প্রকাশ করা হয়েছিল। একই দিন ঘোষণা করা হয়েছিল যে তাদের কোলে সন্তান আসছে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠানও করেন তারা। গত বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলে রাজ্য আসে। সন্তানের জন্মের এক বছরের মধ্যেই রাজপরিবার ভেঙে যায়।