বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, ছাত্রলীগ আর কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না এবং তাদেরকে সমর্থন করাও অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী, নিষিদ্ধ সংগঠনে সমর্থন দিলে ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই আইনের ধারা ৮ অনুযায়ী, যদি কেউ ছাত্রলীগের সদস্য হয়, তাহলে ৬ মাসের কারাদণ্ড হবে; ধারা ৯ অনুযায়ী, যদি কেউ ছাত্রলীগের পক্ষে সমর্থন বা সহমর্মিতা প্রকাশ করে, তাহলে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এছাড়া ধারা ১৭ অনুযায়ী, কেউ ছাত্রলীগের সদস্যদের আশ্রয় দিলে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই অনুযায়ী ৩-৫ বছরের শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগ গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব অপরাধের যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ সরকার সংগ্রহ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
সরকারের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর অধীনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।