আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রস্তুসি চলছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা্ করেছে নির্বাচন কমিশন এবং তাদের কাছে থেকে বিভিন্ন মতামত শুনেছে। সংলাপে বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। সংলাপে বিশেষ করে নির্বাচন পদ্ধতি প্রাধান্য পায় তবে ইভিএমে বিপক্ষে অনেক দল মত দিয়েছেন।
বেশিরভাগ দল না চাইলেও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমেই ভোটের পক্ষে নির্বাচন কমিশন। এ মাসেই কমিশন বৈঠকে নেয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। গত পাঁচ বছরের ইভিএম’র সব ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে ইসি মনে করছে ব্যালট নয় তুলনামূলক স্বচ্ছ ভোট সম্ভব শুধু ইভিএমে। যদিও সংলাপে ইভিএম ব্যবহারে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলেরই সমর্থন পায়নি কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ২০১৮ সাল থেকে ইভিএম নির্বাচনের ফলাফল ও ভোটারদের উপস্থিতি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা আসা করছি পরবর্তীতে যে কমিশন মিটিং হবে সেই মিটিংয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে উপনীত হব।
ইসির সঙ্গে সংলাপে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অভিযোগ করেছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইভিএমের ফলাফল পরিবর্তন করা যেতে পারে। কিন্তু সব পর্যবেক্ষণের পর অভিযোগটি নাকচ করে দেয় ইসি। শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ মতামত জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন, সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ ও যুক্তিগুলো আমরা বিবেচনায় নেব।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ দিয়ে ভোট করা যাবে এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ একশো আসনে। সবশেষে সব আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে আরও তিন লাখ ইভিএম কিনতে হবে। চলতি মাসেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার পক্ষে ইসি এমন আভাস দেওয়া হয়েছে তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও ইভিএমে ভোট করার মতন পর্যাপ্ত উপকরন নেই জন্য বর্তমান কমিশনের নিকট।