বিএনপির দেওয়া অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধের কোনো এক সময় তফসিল হবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদ্ধতিতে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, এসব সাধারণ বিষয় ছিল। আলোচনা করা নির্বাচনের আগে এ ধরনের বৈঠক হয় আরও। যখন যে অবস্থা আসবে তখন সেভাবে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যালট সকালে নাকি আগের রাতে ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হবে তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এই বিষয়ে আরও অনেক সময় আছে। কারণ এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এটা অনেক দূরে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখন আলোচনা হয়েছে বলে কমিশনকে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি বলেন, বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হরতালের পর আরও একটি সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে।
এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে তা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছেন। আবার পরিস্থিতি এলে তারা উপস্থাপন করবে। তারা জানান, এখন পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। তফসিলের পরিবেশ আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, বিশেষ শাখার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। এ সময় পুলিশের (এসবি) প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। .