বাংলাদেশের রাজনীতির শুরু থেকে শেষ পর্জন্ত যে দল দুটি রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর সেই দল দুটি হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি।তবে গেলো ১৫ বছর ধরে একেবারেই ক্ষমতাহীন হয়ে আছে বিএনপি। আর এই সময়টা ক্ষমতার মসনদে বসে আছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এ দিকে এবার খালেদা জিয়াকে নিয়ে নতুন এক তথ্য দিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও এমপি শেখ সেলিম।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৭ বছরের সাজা হওয়ায় ভোট দিতে পারবেন না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার ভাই-বোন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানান শেখ সেলিম। তিনি বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সরাসরি বাড়িতে আনা যাবে না। ঘরে বসে আবার রাজনীতি করলে। সেজন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তাদের বলেছেন, দেশে এসে আবার রাজনীতি করলে তা দেওয়া যাবে না। তখন তারা অঙ্গীকার করেন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজনীতি করবেন না। বন্ড, এবং তিনি ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) এসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে। এগুলো জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং তাদের লোকদের খাওয়ানোর জন্য।’
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিএনপির রাষ্ট্র সংস্কারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বলছেন, তিনি বাংলাদেশকে মেরামত করতে চান। আরে, আগে তোমাকে (তারেক) মেরামত করতে হবে। পারলে বাংলাদেশে আসুন। তুমি বাংলাদেশে এলে মানুষ তোমাকে কিভাবে মেরামত করবে.. অধীর আগ্রহে তোমার অপেক্ষায়। কিন্তু তিনি আসবেন না, বাংলাদেশে আসবেন না।
২০০৭ সালে তারিক রহমান অপরাজনীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয়েছে। মানি লন্ডারিং মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। তারেক জিয়া আর ঢাকায় আসবেন না। ঢাকায় এলে তাকে কারাগারে যেতে হবে। জেলে গেলে রাজনীতি কখনোই নির্বাচন করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত,এ দিকে শেখ সেলিমের এই মন্তব্ব্যের পর থেকে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতির মাঠে। বিশেষ করে বিএনপির অনেকেই এ নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন এবং বিষয়টি সত্য নয় বলেও জানিয়েছেন তারা।