নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘ”র্ষে শেষ হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রে”প্তার করা হয়। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৩৮ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
কারাগার থেকে মুক্তির পর গণমাধ্যম বিএনপি মহাসচিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বিএনপির মধ্যে গুঞ্জন আছে- ‘বিভিন্ন কারণে’ আপনি মুক্তির পর রাজনীতি থেকে অবসর নিতে পারেন?
জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা এগুলো বলেন বা শোনেন, তারাই এসব গুঞ্জন তৈরি করেন। যদি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিই তা পাবলিকলি নেব। আমার রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম। সারাজীবন রাজনীতি করেছি, বাকি জীবনও করতে চাই। সব কিছু নির্ভর করবে শারীরিক সুস্থতার ওপর।
কারাগার থেকে বেরিয়ে আপনি বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এখন গণসংযোগ করছেন। কবে নাগাদ রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন?
জবাবে ফখরুল বলেন, হ্যাঁ, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমরা আন্দোলনে আছি এবং থাকব। এর কোনো বিকল্প নেই। দলীয় ফোরামের বৈঠকে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আন্দোলনের কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বিএনপি ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পরে মন্ত্রিসভা গঠন করে সংসদের প্রথম অধিবেশনও অনুষ্ঠিত হয়।