শোবিজ দুনিয়া থেকে রাজনীতির মঞ্চে যাতায়াত একসময় ছিল অনেক তারকার কাছে সাধারণ বিষয়। অভিনয়শিল্পী, নায়ক-নায়িকা, এবং গায়ক-গায়িকাদের একাংশ রাজনীতির জগতে প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের সান্নিধ্যে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করতেন। আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় ছিল তারকাদের মিলনমেলার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। রাজনীতির মাঠ থেকে বেডরুম, অবাধ যাতায়াত ছিল অভিনেত্রীদের। কেউ চাইতেন বৗক্তিক সুবিধা, আবার কেউ মনোনয়ন পেতে দারস্থ হতেন ক্ষমতাবানদের কাছে।
সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক ব্যক্তিত্ব এখন এ বিষয়ে মুখ খুলছেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসছে, রাজনীতির মাঠ থেকে ব্যক্তিগত পরিসরে অবাধ যাতায়াত ছিল কিছু তারকার। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
তারানা হালিম, সুবর্ণা মুস্তফা, মমতাজ বেগমের মতো রাজনীতি না করা তারকারা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই ধারাটি আরও জনপ্রিয় হয়। তাদের দেখাদেখি এমপি হওয়ার জন্য মরিয়া হন রিয়াজ, শাকিল, মৌসুমী, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, শমী কায়সার, জাহিদ হাসানের মতো তারকারা।
ক্ষমতার সঙ্গে লেজুরবৃত্তি ছিল অনেকের সাফল্যের চাবিকাঠি। যখন যে দল ক্ষমতায়, তারাই হয়ে উঠতেন এসব তারকার প্রিয়পাত্র। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঢাকা-১০ আসন থেকে এমপি হন একসময়কার ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস। তবে কিছু তারকার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
রাজনীতির জন্য তারকাখ্যাতি ব্যবহার করতে গিয়ে জনপ্রত্যাশার বিপরীতে অবস্থান নেন অনেক তারকা। ক্ষমতাকে ব্যক্তি স্বার্থে কাজে লাগিয়ে তারা রাতকে দিন, দিনকে রাত বানিয়েছেন। তবে সময়ের ব্যবধানে এই তারকা রাজনীতিকদের অনেকেই এখন জনদৃষ্টির আড়ালে।