রাজনীতির মাঠে ব্যর্থ হয়ে আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও লবিস্টদের দিকে ফেরত গেছে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে অতীতে ফিরে যাচ্ছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে দলটি। পোশাকের ক্রয়াদেশে নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশ থেকে পোশাক না নেওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করার গুজব ছড়ানো হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর পোশাক শিল্প মালিক সমিতি-বিজিএমইএ এই ধারা সংযোজনকে ভুল ও মিথ্যা ঘোষণা করে। ফরাসি ক্রেতা কোম্পানি ক্যারিবান গত ৮ নভেম্বর সোর্সিং কোম্পানি জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালকে ৭৫৭ হাজার মার্কিন ডলারের মাস্টার এলসি বা মূল লেটার অব ক্রেডিট দেয়। তার বিপরীতে জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল নারায়ণগঞ্জের নেট কনসার্ন লিমিটেডকে দুই লাখ ২৮ হাজার ডলারের ডিবেঞ্চার হস্তান্তর করে।
এখানে দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ইস্যু করা সেই মূল ঋণপত্রে উল্লেখ ছিল, ‘আমরা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সঙ্গে লেনদেন প্রক্রিয়া করব না। নিষেধাজ্ঞার কারণগুলোর জন্য আমরা কোনো বিলম্ব, নন-পারফরম্যান্স বা তথ্য প্রকাশের জন্য দায়ী নই। ’
তবে ক্যারিবান এবং জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে যে পোশাক আমদানির জন্য জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালকে ইস্যু করা মাস্টার এলসিতে কোনও নিষেধাজ্ঞার ধারা নেই বা নতুন যুক্ত করার কোনও প্রশ্ন নেই। এটি দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক যুক্ত করেছে, যা ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে প্রতিটি ঋণপত্রের ক্ষেত্রেই তারা করছে। এই ধারায় বলা নেই যে, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনো সূত্র যুক্ত করেনি। অন্যদিকে, ক্যারিবান এবং জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে ব্যাঙ্ক এই ধারার বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অফ দুবাইয়ের ঋণ নথি থেকে নিষেধাজ্ঞার ধারাটি সরিয়ে দেওয়া হয়।