গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করার জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী শনিবার (২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
নোটিশে মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমীসহ কারাগারে থাকা সব আলেম-উলামাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় এমতাবস্থায় আমীর হেফাজত আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সাথে পরামর্শ করে অবিলম্বে তওহিদী জনতা নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা দেবে তারা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এক বিবৃতিতে হেফাজেতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজেদুর রহমান বলেন, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলন থেকে ঘোষিত দাবিসমূহের অন্যতম দুটি দাবি ছিল- মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমীসহ হেফাজতের কারাবন্দি সকল আলেম উলামার মুক্তি এবং ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
তিনি বলেন, ২৫ অক্টোবর উলামা মাশায়েখ সম্মেলনের পর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের জোরালো দাবি ছিল। এরই মধ্যে ৩০ নভেম্বর পার হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ, এই সময়ের মধ্যে মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী এবং মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এ জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে, মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যারা এখনও কারাগারে। ফলে সারাদেশে হেফাজত ও ওলামায়ে কেরাম ও আপামর তওহিদী জনতার নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।